রাজশাহী ব্যুরো
১৪ লাখ টাকা নিয়েও দিতে পারেননি সরকারি চাকরি। সেই টাকা যাতে ফেরত না দিতে হয় সেজন্য দুবাই পাঠিয়ে আদম ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেন কলেজছাত্রকে। টানা ৩৮ দিন বন্দি থাকার পর আরও ৫ লাখ টাকা দিয়ে মিলেছে মুক্তি। এমন অভিযোগ করে রাজশাহী চারঘাটের কলেজ শিক্ষার্থী মুন্না আদালতে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনায় প্রতিকারের আশায় আদালতে মামলা করেন ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
আদালত ঘুরে দেখা যায়, দুদফা প্রতারণায় সব হারিয়ে নিঃস্ব হবার যন্ত্রণায় রাজশাহী জেলা জজ আদালতের বারান্দায় আবু তালেব মুন্নার আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। চাকরি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি ও বিদেশ গিয়ে প্রতারিত হয়ে সহায় সম্বল ও ভিটেমাটি সব হারিয়ে বুধবার দুপুরে প্রতিকারের আশায় তিনি আসেন আদালতে মামলা করতে।
রাজশাহী চারঘাটের কলেজছাত্র আবু তালেব মুন্নার ভাষ্যমতে, গত দুই বছর আগে কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য সারদা একাডেমিতে কর্মরত পুলিশ সদস্য আব্দুল করিম তার কাছ থেকে ১৪ লাখ টাকা নেন।
মুন্নার অভিযোগ, চাকরি না দিতে পেরে করিম টাকা ফেরত দেয়ার বদলে তাকে অনেকটা জোর করেই পাঠিয়ে দেন দুবাই। সেখানে গিয়ে মুন্না পড়েন আদম সিন্ডিকেটের হোতা ও করিমের বন্ধু মোমিনের ফাঁদে। তাকে আটকে রেখে এক মাস ধরে নির্যাতন চালায়। শেষমেষ ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে আরও পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মেলে মুক্ত হন। মুন্না দেশে ফিরতে পারলেও সহায় সম্বল হারিয়ে সর্বস্বান্ত তার পরিবার।
মুন্নার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সবুর খান জানিয়েছেন, আদালত মামলা আমলে নিয়ে চারঘাট থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
নানাভাবে চেষ্টার পরও বক্তব্য পাওয়া যায়নি অভিযুক্ত আব্দুল করিমের।
সাজেদ/
ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন