প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৮:৫০ পিএম
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের কাজ করার সময় চারতলা একটি ভবন হেলে পড়েছে।
বুধবার সকালে নগরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ফেরদৌস প্লাজা ভবনটি হেলে পড়ে। আশপাশের একতলা কয়েকটি ভবনের দেওয়ালেও ফাটল দেখা গেছে।
বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ষোলশহর চশমা খালের জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ করছে সিডিএ। খালের প্রতিরোধ দেয়াল নির্মাণে চার মিটার গভীর করে লোহার পাটাতন পোঁতা হয়েছে। খালের সঙ্গে লাগোয়া চারতলা ভবনটি ফেরদৌস প্লাজা। খাল সম্প্রসারণের জন্য ভবনটির একাংশ আগেই ভাঙা হয়েছে। মঙ্গলবার অন্য অংশটিও খালের দিকে হেলে পড়ছে। আতঙ্কে ভবনের লোকজন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। লোকজনদের সরিযে দিচ্ছে পুলিশ।
ভবনটির নিচতলায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, দ্বিতীয় তলায় দাঁতের চিকিৎসকের চেম্বার, তৃতীয় তলায় একটি আইটি ফার্ম ও চতুর্থ তলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের কার্যালয়।
ইরেবু নামের আইটি ফার্মের স্বত্বাধিকারী সাদরুল কবির রিয়াদ বলেন, ‘খালে প্রতিরোধ দেয়ালের কাজ চললেও সতর্কতামূলক নোটিশ বা ঘোষণা দেয়া হয়নি। আগে নোটিশ দিলে প্রস্তুতি নিতে পারতাম। আগের দিন মঙ্গলবারও অফিস করছি। বুধবার সকালে স্থানীয় এক দোকানদারের কাছে খবর পেয়ে এসেছি। প্রতিষ্ঠানে ১৮টি কম্পিউটার আছে। চেয়ার-টেবিল আছে। নানা জিনিসপত্র আছে। এসব নিয়ে হঠাৎ করে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।’
ভবন মালিক খোরশেদ আলম বলেন, ‘এটা আমাদের পারিবারিক ভবন। ১৯৮৬ সালে নকশা অনুমোদন নেয়া হয়েছিল। সোয়া দুই কাঠার ওপর চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৯০ সালে।’
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য তাদের ভবনের একাংশ ১০ দিন আগে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এখন যেটুকু আছে তাও হেলে পড়েছে। ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা অনুযায়ী ভবনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সিডিএর অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘ভবন হেলে পড়ার বিষয়টি শুনেছি। সিডিএর লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে’
২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে নগরের মাদারবাড়ি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলার সময় খালের পাশের দুটি ভবন, একটি মন্দির ও একটি কাঁচা ঘর হেলে পড়েছিল।
এএল/