• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর পৌরমার্কেট নির্মাণ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৪:৫৫ পিএম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর পৌরমার্কেট নির্মাণ

দেশজুড়ে ডেস্ক

উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর একটি মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। আর এজন্য ভেঙে ফেলা হয়েছে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। আর এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের মাঝে।

২০১৯ সালের ১৯ মার্চ ভারত সরকারের সহায়তায় ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় নবগঠিত পৌরসভায় নির্মিত ১১টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছিল ভান্ডারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে।

জমির মালিক দাবিদার জাকির উদ্দিন সাবু জানান, ভান্ডারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরোনো ভবন ভেঙে সেখানে ভান্ডারিয়া পৌর মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। এজন্য সেখানে স্থাপিত একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি খুলে ফেলা হয়। এছাড়া ইউনয়ন পরিষদ ভবনটি ব্যক্তিগত জমির ওপর থাকলেও, সেখানে পুনরায় মার্কেট নির্মাণে জমির মালিকদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের আপত্তি উপেক্ষা করে সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট। শুধু তাই নয় এ বিষয়ে উচ্চ আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা দিলেও তার কোনো তোয়াক্কা না করেই নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট ভবন। কুয়েক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন ভিত্তিক মার্কেট।

অন্যদিকে ভান্ডারিয়া পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে মাকেটটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি মার্কেট নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের। তবে মার্কেটের জমির মালিকানা পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের এরকম কোনো প্রমাণাদিও দেখাতে পারেনি ভবনটির নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদার।

ভান্ডারিয়া পৌরসভা উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, মার্কেট নির্মাণকাজ শেষ হলে পুনরায় সেটি মার্কেট ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হবে। তবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর পুনরায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি স্থাপন করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা স্থানীয়দের।

এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া পৌরসভার তৎকালীন প্রশাসক সীমা রাণী ধর জানান, তিনি প্রশাসক থাকাকালীন সময়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে মার্কেটের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি প্রশাসক থাকাকালীন সময়ে ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ ছিল। বর্তমানে তিনি প্রশাসকের দায়িত্বে নেই। 

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ