প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৩:৫২ এএম
ঢাকার আশুলিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে জামাই আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রোববার রাতে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার কাদের মাস্টারের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিবুর রহমান বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার আবুল হোসেনের ছেলে। তিন মাস আগে একই জেলার মোহিব্বুল্লাহ খানের নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আনিকা তাবাচ্ছুমকে তিনি বিয়ে করেন।
নববধূর ছোটভাই জানান, তার বোনের বিয়ে হয়েছে মাত্র ৩ মাস। রোববার সন্ধ্যায় তার বোনকে সাথে নিয়ে যেতে চান তাদের বাড়িতে কিন্তু বোন যেতে চাচ্ছিল না। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। বিয়ের আগে কথা হয়েছিল বিয়ের পরে তার বোন আমাদের কাছে থেকে পড়াশোনা করবে। তাই আমার পরিবারের লোকজন তাকে শ্বশুরবাড়িতে যেতে দিতে রাজি হচ্ছিল না।
তিনি জানান, এ বিষয়ে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে রুমে ঢুকে দরজা আটকে গলায় ফাঁস নেয় বোনের স্বামী হাবিব। তখন বাবা বাড়িতে না থাকায় আমরা কোনো কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। কিছু সময় পার হওয়ার একপর্যায়ে আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙে দেখি ভাইয়া রশিতে ঝুলে আছে। পরে তাকে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আশুলিয়া থানার এসআই আবজালুল হক বলেন, নারী ও শিশু হাসপাতাল থেকে রাত ১০টায় হাবিবুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে লাশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও মৃত ব্যক্তির স্বজনদের কোনো অভিযোগ থাকলে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।