• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অবস্থান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

বিয়ের দাবিতে কলেজছাত্রের বাড়িতে স্কুলছাত্রীর অবস্থান

উপজেলা প্রতিনিধি

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়েও বিয়ে না করায় কলেজছাত্র প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে স্কুলছাত্রী প্রেমিকা। দ্রুত সময়ে বিয়ে না দেওয়া হলে আত্মহত্যা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে সে। তবে বাড়ি ছেড়ে লাপাত্তা প্রেমিক তুষার ও তার পরিবার।

পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) থেকে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ১০ম শ্রেণি পড়ুয়া প্রেমিকা কলেজছাত্র প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে।

অভিযুক্ত প্রেমিক হোসেন উদ্দিন খা ওরফে তুষার সাহাপুর গ্রামের তফিজ উদ্দিনের ছেলে। সে গত বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে সুজানগরে একটি কলেজে ভর্তির আবেদন করেছে।

প্রেমিকা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আসা-যাওয়া আছে তুষারের। সেখান থেকে পরিচয়ের পরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৪ বছর থেকে আমরা পাবনা শহর ও সুজানগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে গেছি। সে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাওয়ায় আমি প্রথমে বাধা দেই। কিন্তু সে জোরালোভাবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে।’

সে আরও বলেন, ‘গভীর সম্পর্কের পর আমি তাকে বিয়ের কথা বলায় সে তার পরিবারের কথা জানায়। তার পরিবার রাজি না হওয়ায় আমাকে সে নিজেই তার বাড়িতে আসতে বলে। আমি গত বৃহস্পতিবার এই বাড়িতে আসলে তার মা-বাবা তাকে বাড়ি থেকে ভয়ভীতি দিয়ে অন্য কোথাও নিয়ে গেছে। এখন প্রতিশ্রুতি মতো আমাদের বিয়ে না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’

এ বিষয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত প্রেমিক তুষারের বাবা তফিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমি তাদের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানি না। এখন এলাকার ব্যক্তিবর্গদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু কোনো পক্ষই আমার কাছে আসেনি। যেহেতু কেউই আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি, সেহেতু আমার এখানে কিছু করার নেই।’

এ বিষয়ে সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ‘আমার মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তাই তার দাবির বিষয়ে আইনি কোনো ভিত্তি নেই। এখন মেয়ে আবার ছেলেটির বাড়িতে গিয়েছে কিনা আমি জানি না।’

আর্কাইভ