প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৫:২৬ পিএম
দেশে গত কয়েকদিন থেকে সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা ৭-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকছে। শীত আর হিমেল হাওয়ায় প্রভাব পড়ছে জনজীবনেও। এর মধ্যেই পলিথিনে ঘেরা অস্থায়ী ঘরে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কার্যক্রম চলছে। এসএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে বাধ্য হয়ে ঠান্ডার মধ্যে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বিল্ডিং ভবনে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় এমন ব্যবস্থা বলছেন প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি। শিক্ষার্থীদের দাবি, তীব্র শীতের মধ্যে এ ভাবে ক্লাস করা অনেক কষ্টসাধ্য হচ্ছে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে চলতি বছর ২৬ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। স্কুলটি ২৩ বছর আগে জাতীয়করণ হলেও শ্রেণিকক্ষের অভাবে এই শীতে বাহিরে ক্লাস করতে হচ্ছে। খোলা স্থান হওয়ায় রাস্তার যানবাহনের বিকট শব্দ আর প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা মাঠে হট্টগোল করায়, পড়াশুনা নিয়ে চিন্তিত পরীক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
২০০০ সালে বিদ্যালয়টি জাতয়িকরণ করা হয়েছিল। প্রায় ১৫ বছর পুরাতন ভবনে পাঠদান কার্যক্রম চললেও, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষের অভাব রয়েছে। ফলে বাহিরে খোলা স্থানে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
পাঠদান করতে গিয়ে কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। তারা বলেন, পাঠ দান করতে গেলে নানান হট্টগোল এবং ফাকা স্থান হওয়ায় মনোযোগ হারিয়ে ফেলেন শিক্ষকরা। এতে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণে বিঘ্ন ঘটে। এই ঠান্ডায় পাঠদানে ব্যাঘতও ঘটছে বলে জানান শিক্ষকরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি, দ্রুত এমন কষ্ট থেকে তাদের মুক্তি দিয়ে ক্লাসরুমে ক্লাস করার জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করবেন।
বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক ইসরাইল হক জানান, নতুন ভবনের উপর ভবন নির্মানের জন্য ২০২১ সালে অনুমোদন হলেও মূল্যবৃদ্ধির অযুহাতে কাজ করেননি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আবার নতুন করে বরাদ্দের কাজ সম্পন্ন হয়ে এলে, তবেই শুরু হবে ভবন নির্মাণের কাজ।
তিনি আরও বলেন, ভবন না থাকায় আমরা বাধ্য হয়ে এ ভাবে ক্লাস নিচ্ছি। এতে করে শিক্ষক ও পরীক্ষার্থী উভয়ই কষ্টের মধ্যে ক্লাস করছে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে এই শিক্ষার্থীদের অন্য ক্লাসরুমে পাঠদানের কোনো ব্যবস্থা নাই। আর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায়, এ ভাবে পাঠদানে তারা বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার লুতফর রহমান জানান, খোলা স্থানে এসএসসি পরিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। যদি শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকে, তবে শিপটিং হিসেবে ক্লাস নেওয়া যায়। যেহেতু তারা এমনটি না করে, খোলা স্থানে ক্লাস নিচ্ছেন- তার জন্য তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান ওই কর্মকর্তা।