প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৩:৩৮ এএম
বগুড়ার ৪ ও ৬ দুই আসনের উপনির্বাচনে আপিল করে দুই জন প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। তবে দুই আসনেই মনোনয়ন বাতিল হওয়া হিরো আলম আপিলেও ফিরে পাননি প্রার্থীতা। এ ছাড়া মনোনয়ন পাওয়া ১১ জনের কেউই প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেননি বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন কার্যালয়। উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন রোববার বিকেলে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।
তিনি জানান, আপিলে প্রার্থীতা ফেরত পাওয়া দুই জন হলেন বগুড়া-৪ আসনের কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল এবং বগুড়া-৬ আসনের আব্দুল মান্নান আকন্দ। এ নিয়ে বগুড়ার দুটি আসনে মোট ১৩ প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে পাঁচ জন প্রার্থী। আর বগুড়া-৬ আসনে আটজন সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন।
গত ৮ জানুয়ারি উপনির্বাচনের প্রার্থী যাচাই-বাছাই ছিল। ওইদিন মনোনয়নে দেয়া ভোটার তালিকার তথ্যে নানা রকম গড়মিল থাকায় দুই আসনের মোট ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।
পরে এই ১১ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। রোববার সেই আপিলের শুনানি ছিল। শুনানিতে আব্দুল মান্নান আকন্দ ও কামরুল হাসান সিদ্দিকী প্রার্থীতা ফিরে পান। এদের মধ্যে কামরুল হাসান সিদ্দিকী বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এবং আব্দুল মান্নান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী।
বগুড়া-৬ আসনে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়া আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনে আপিল করেছিলাম। আজ (রোববার) সেই আপিলের শুনানি ছিল। শুনানির পর আমার প্রার্থীতা ফিরে দেয়া হয়েছে।
একই কথা বলেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের প্রার্থী কামরুল হাসান সিদ্দিকী। বগুড়ার দুই আসনে মনোনয়ন তুলে আলোচিত হয়েছিলেন হিরো আলম। ঠিক তেমনি মনোনয়ন বাতিলের পর ফের আলোচনায় আসেন তিনি। বাতিল হওয়া অন্য মনোনয়ন উত্তোলনকারীদের মতো হিরো আলমও আপিল করেন। কিন্তু শুনানিতে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাননি।
জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, আপিল শুনানিতে প্রার্থীতা দেয়নি আমাকে। তবে সমস্যা নেই। আমি আগামীকাল হাইকোর্টে আপিল করবো। কাগজপত্র রেডি করছি।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীর গোলাপবাগে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে বিএনপির দলীয় সাতজন এমপির পদত্যাগ ঘোষণা আসে। পরদিন ১১ বিএনপির ছয়জন সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একজন দেশের বাইরে ছিলেন। তিনি পরে জমা দেন পদত্যাগপত্র। এই সাত সংসদ সদস্যের মধ্যে রুমিন ফারহানা সংরক্ষিত নারী আসনের। বাকি ছয়টি আসনে হচ্ছে উপনির্বাচন।
ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী- শূন্য হওয়া আসনগুলোয় নির্বাচন হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।