• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম, অর্থাভাবে বিপাকে পরিবার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ১১:৩৯ পিএম

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম, অর্থাভাবে বিপাকে পরিবার

মাদারীপুর প্রতিনিধি

একসঙ্গে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পিংকি আক্তার নামে এক গৃহবধূ। শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় জন্মের পর থেকেই ৪ সন্তানকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

আইসিইউতে রেখে চিকিৎসার টাকা জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন দরিদ্র কৃষক আনোয়ার শিকদার। টাকার অভাবে আইসিইউ থেকে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই ফেরার কথা ভাবছে দরিদ্র পরিবারটি। সন্তানদের চিকিৎসার জন্য দেশের সবার সহযোগিতা চান তিনি।

পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ৭ বছর আগে পিংকি আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের বেপারীকান্দি ক্লাব বাজার গ্রামের মো. মানিক শিকদারের ছেলে কৃষক আনোয়ার শিকদারের। বিয়ের প্রায় ২ বছর পর তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। এরপর তাদের আর কোনো সন্তান না হওয়ায় চিকিৎসকের কাছে যান।

একটি ছেলের আশায় এই দরিদ্র দম্পতি দীর্ঘদিন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করেন। এতে প্রায় আড়াই-তিন লাখ টাকা খরচও হয় তাদের। এর মধ্যে গৃহবধূ পিংকি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হন। গত ৭ জানুয়ারি সকালে পিংকির প্রসব বেদনা উঠলে প্রথমে তাকে পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালে আনা হয়।

পরে চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে ওইদিনই দুপুরে ঢাকার বড় মগবাজার আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওইদিন রাত ৮টার দিক সিজারের মাধ্যমে ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের জন্ম দেন পিংকি আক্তার। একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম হওয়ায় পিতা, মাতাসহ আত্মীয়-স্বজন সবাই মহাখুশি। তবে জন্ম হওয়ার পর পরই শিশুদের শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাদের আইসিইউতে রাখা হয়।

প্রতিদিন হাসপাতালের চিকিৎসা খরচসহ প্রায় ৭০ হাজার টাকার জোগান দিতে হচ্ছে দরিদ্র কৃষক আনোয়ার শিকদারকে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে ঋণ করে সন্তানদের চিকিৎসা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই তার সন্তানদের বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চান তিনি।

আনোয়ার শিকদার বলেন, আল্লাহ আমাকে একসঙ্গে ৩ মেয়ে ও এক ছেলে দিয়েছেন, এতে আমি। আমার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই অনেক খুশি হয়েছি। এখন প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাগছে। কী করব বুঝতে পারছি না। হয়তো টাকার অভাবে নবাগত সন্তানদের মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই বাড়ি ফিরতে হবে। তাই আমার সন্তানদের বিনা পয়সায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি।

আর্কাইভ