প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ১১:৩০ পিএম
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পাঁচ মাস আমদানি করার মতো রিজার্ভ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা আছে। আমাদের মুদ্রাস্ফীতি ৯-এর ওপর চলে গিয়েছিল। এখন ৮ এর নিচে নেমে গেছে। আইএমএফের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় আড়াই হাজার ডলারের বেশি। যা ২০২৬ সালে চার হাজারে ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ এখনও পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যাচ্ছে। একজন নেতার জন্য সেটি সম্ভব হচ্ছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেন। তিনি বাংলাদেশের রূপকার। তিনি করোনা সংকটের সময় বিনামূল্যে টিকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, করোনার পর বিশ্বে নতুন করে যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটির প্রতিক্রিয়া আমাদের জীবনে এসে গেছে। আমরা একটা বিপদে আছি, এ কথা সত্য। আমাদের আজ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করতে হয়। আজ গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সাধারণ, নিম্ন ও স্বল্পবিত্ত মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরও আমাদের নেত্রীর বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনও স্থিতি অবস্থায় রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ পৃথিবীর বহু দেশেই সংকট। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়াও আছে। ইউরোপে পর্যন্ত রেকর্ড ভাঙা সংকট। আমেরিকায় সংকট। সেখানে সরকার সম্পর্কে নানা কথা থাকে, সমালোচনাও থাকে। কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্টে বাইডেনের পদত্যাগ দাবি করে না। তবে আমাদের দেশে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করা হয়। পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্বব্যাংক অপবাদ দিয়ে চলে গেছে। শেখ হাসিনা সংসদে ঘোষণা দিলেন দেশের টাকায় পদ্মা সেতু হবে এবং হয়েছে। এই পদ্মা সেতুতে প্রতিদিন আমরা দুই কোটি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা টোল পাচ্ছি। তারপর মেট্রোরেল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নানা বয়সের মানুষ এটি দেখতে আসছেন। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর নিচ দিয়ে টানেল হচ্ছে। যেটি দক্ষিণের এশিয়ার কোথাও নেই। তিনি বলেন, আমাদের রিজার্ভ আরও বাড়বে, তেমন আভাস পাচ্ছি। রপ্তানি আয় ক্রমেই বাড়ছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ও মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বাড়বে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নির্বাচনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, আমাদের আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী নির্বাচন। সেটা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে হবে বলে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে। সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে করণীয় সম্পর্কে গতকাল (বৃহস্পতিবার) এমপিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশ আমরা পালন করছি। একইসঙ্গে আমরা বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলা করছি।