প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩, ০৮:৩১ পিএম
তাজুল ইসলাম। নাম পরিচয় পাল্টিয়ে দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কারারক্ষী পদে চাকরি করে গেছে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার দক্ষিণ শশিদল গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (৪২)।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) বিকালে র্যাবের বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার ব্রাহ্মণপাড়া বাজার এলাকা হতে প্রতারক তাজুল ইসলাম কে গ্রেফতার র্যাব।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) সকালে কুমিল্লা নগরীর শাকতলা র্যাব -১১ সিপিসি-২ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব -১১ সিপিসি-২ কোম্পানি অধিনায়ক সাকিব আহমেদ। এ সময় তার কাছ থেকে তিন সেট কারারক্ষী ইউনিফর্ম , একটি কারারক্ষী জ্যাকেট , এক সেট কারারক্ষী রেইনকোট , ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি-পত্রাদি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১ জানায় , তাজুল ইসলাম ২০০১ সালে নিজের নাম পরিচয় বদলে আরেক নিয়োগপ্রাপ্ত কারারক্ষীর নাম পরিচয় ব্যবহার করে চাকরীতে যুক্ত হয়। ২০০১ সাল থেকে শুরু করে প্রায় ২২ বছর ধরে সে কাজ করে গেছে কারারক্ষীর মত একটি স্পর্শকাতর জায়গায়।
২০০১ সালে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার শাহজাহানপুর গ্রামের মোঃ নুর উদ্দিন খান এর ছেলে মোঃ মঈন উদ্দিন
কারারক্ষী পরীক্ষায় নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তার নিয়োগ পত্র ডাকযোগে প্রেরণ করা হলে প্রতারক তাজুল ইসলাম মঈন উদ্দিন খানের বাড়িতে গিয়ে নিজেদেরকে কারারক্ষীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেয়। মঈন উদ্দিন ২০২১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর চাকরীতে যোগদানের আবেদন করেন। এসময় প্রতারক তাজুল ইসলাম কর্তৃক বিভিন্ন হুমকি ও ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়।
মঈন উদ্দিন এতে অস্বীকৃতি জানায় ও উচ্চ আদালতের দারস্থ হন। পরবর্তীতে নানা তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারী এই প্রতারকককে গ্রেফতার করে র্যাব ১১ সিপিসি
এনএমএম/