প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম
উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমের সব জেলায় তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত কুয়াশ ঝড়ছে। আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রী, পঞ্ছগড়ে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রী এবং কুড়িগ্রামে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বেশ কিছু জেল;আয় আকাশ পরিষ্কার রয়েছে তবে হিমেকল হাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। গত দুদিনে রাজধানীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও রাতের বেলায় তা কমে আসে। শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে রংপুরে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন একজন।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, শীতে জবুথবু উত্তরাঞ্চল। রংপুর বিভাগে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত এসব অঞ্চলের মানুষ। সড়কে মানুষের উপস্থিতি তেমন না থাকায় আয় রোজগার কমে বিপাকে পড়েছেন রিক্সাচালকরা। আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন এক নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় দগ্ধ হয়েছেন ৮ জন। দগ্ধ হয়ে ৩১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধী রয়েছেন।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, দৌলদিয়া-পাটুরিয়া এবং আরিচা, নগরবাড়ীতে ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। সকাল ৯ টার পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
চুয়াডাঙা প্রতিনিধি জানান, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহের কারণে এখনো কমেনি শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া চলতি মৌসুমে এটি এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোর থেকেই এলাকার বিভিন্ন মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে। গত তিনদিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুসহ প্রায় ১৫শ রোগী নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত কারণে আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী ২ দিন দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিও হতে পারে।
এনএমএম/