• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে ভিড়তে পারছে না জাহাজ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৭:৫০ পিএম

বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে ভিড়তে পারছে না জাহাজ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

শুষ্ক মৌসুমে নদীতে পানি কমে যাওয়ায় চরম নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে। এতে বন্দরে ভিড়তে পারছে না পণ্যবাহী বড় বড় জাহাজ। ফলে বাধ্য হয়ে লাইটারেজ জাহাজে পণ্যপরিবহন করতে গিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও ঘাট ইজারাদারদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ির নৌবন্দরটি যমুনা নদী পশ্চিম তীরে অবস্থিত। প্রতিদিন চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলাসহ দেশের বিভিন্ন নৌবন্দর থেকে সার, কয়লা, সিমেন্ট, জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী নিয়ে জাহাজ নোঙর করে। তবে প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুম আসলেই এই বন্দরে দেখা দেয় চরম নাব্য সংকট।

জাহাজচালকরা জানান, স্বাভাবিকভাবে নদীতে বড় জাহাজ চলাচলে ১০ থেকে ১২ ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন হয়। বর্তমানে ওই বন্দর চ্যানেলে পানি আছে ৫ থেকে ৭ ফুট। ফলে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরে ভিড়তে পারছে না বড় বড় জাহাজ। পণ্যবাহী বড় জাহাজগুলো দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমদানিকারকদের ছোট ছোট লাইটারেজ জাহাজ ও কার্গোতে করে পণ্য বন্দরে আনতে হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের ইজারাদার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন হীরা জানান, বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে না পারায় দূর থেকে ছোট ছোট লাইটারেজ জাহাজে পণ্য আনায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ব্যবসায়ীদেরও অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। আর বন্দরে বড় জাহাজ ভিড়তে না পারায় কাজ কমে গেছে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদেরও। বন্দরের নাব্য সংকট দূর করতে পদক্ষেপ নেয়া কথা জানান বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের দায়িত্বরত পোর্ট অফিসার আসাদুজ্জামান ইমন।

উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার সার, কায়লা, সিমেন্ট, চাল, গমসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা হয় এই বন্দর দিয়ে। এ ছাড়া পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নামে তিনটি জ্বালানি তেলের ডিপো রয়েছে এ বন্দরে।

 

এনএমএম/

আর্কাইভ