প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৯:২০ পিএম
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে ওই নারীর স্বজনদের করা মামলার পর কয়েছ আহমদ (২৫) নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েছের বাড়ি উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে। এর আগে গতকাল দুপুরে স্বামীর বাড়ি থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের যোগীমোড়া গ্রামের বাসিন্দা রইছ আলীর মেয়ে রীমা আক্তারের (১৯) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সাগরনাল ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়ডহরের বাসিন্দা আবদুল কাদিরের ছেলে কয়েছ আহমদের বিয়ে হয়। কয়েছ চট্টগ্রাম শহরে ট্রাক চালান। বিয়ের পর কয়েছ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ট্রাক কেনার জন্য যৌতুক হিসেবে রীমার কাছে একাধিকবার টাকা দাবি করেন। পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা তুলে ধরে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন রীমা। এ কারণে তাঁর ওপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হতো।
এজাহারে বলা হয়েছে, স্বামী কয়েছ প্রায়ই রীমাকে বলতেন, তিনি তাঁকে বিয়ে করে ঠকেছেন। রীমা মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করবেন। অনেক টাকা যৌতুক পাবেন। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকেও রীমা মুঠোফোনে কেঁদে কেঁদে নির্যাতনের কথা স্বজনদের জানান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কয়েছের ছোট ভাই জাবেদ মুঠোফোনে রীমা আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর স্বজনদের খবর দেন। পরে রীমার স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ঘরের আড়ার সঙ্গে রীমার লাশ ঝুলতে দেখেন তাঁরা। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
লাশ উদ্ধারের পর কয়েছকে আটক করে পুলিশ হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রীমার মা সারি বেগম (৪১) বাদী হয়ে কয়েছ ও তাঁর বাবা আবদুল কাদিরকে (৬০) আসামি করে জুড়ী থানায় মামলা করেন। যৌতুকের দাবিতে তাঁরা নির্যাতনসহ রীমাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা জোগান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহসীন তালুকদার আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় নিহত গৃহবধূর শরীরে, গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছাড়া আর কোনো আঘাত দেখা যায়নি। আটক কয়েছকে রীমার মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। তাঁকে মৌলভীবাজারে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদরে অবস্থিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েছের বাবা পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পোস্ট থেকে জানা গেছে নুরমোহাম্মদ-জাদেহ একজন বডিবিল্ডার। জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তিনি জয়ী হয়েছেন।
সাহান্দ নুরমোহাম্মদ ছোট একটি সোনার দোকানে কাজ করতেন। সেপ্টেম্বরে ওই দোকানের কাছেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। জাদেহ বলেছেন, ঘটনার দিন তিনি শুধু শপিং মলের বাইরে থাকা একটি ডাস্টবিনে লাথি দিয়েছেন এবং আগে থেকেই ভাঙা রেললাইন সরিয়ে নিয়েছিলেন। বিবিসির পারসি সংস্করণে এ–সংক্রান্ত একটি অডিও টেপ প্রকাশিত হয়েছিল।
তাঁকে নির্দোষ দাবি করে শপিং মলটির শতাধিক কর্মী ও দোকানি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।
এনএমএম/