প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৫:৫৫ পিএম
মাঝ নদীতে ২ কিশোরি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণ ঘটনার ২ মাস পর মুখ খুললেন দুই কিশোরী। গত অক্টোবরে ধর্ষণের ঘটনার পর বিষয়টি আড়ালে ছিল কিন্তু কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরলে বিষয়টি তাদের পরিবারের নজরে আসে। এরপর তাদের ভাষ্যমতে পরিবারের পক্ষ থেকে এক কিশোরীর পিতা থানায় মামলা করেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে ঐ লঞ্চ থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মফিজ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, গত ৩০ অক্টোবর দুলারহাট ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে ২ কিশোরী ভোলা থেকে চাকরির জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তারা লঞ্চের ডেকে বসলেও লস্কর মফিজ তাদেরকে স্টাফ কেবিনে নিয়ে বসিয়ে রাখেন। পরে কেবিনের নিচে তাদের থাকতে দেয়া হয়। রাতে দোতলা কেবিনের কাঠ সরিয়ে মফিজ কিশোরীদের কেবিনে গিয়ে ছুরি উচিয়ে ভয় দেখায়। এরপর ২ কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
নুরুল ইসলাম বলেন, কিশোরীরা ভয়ে ঘটনাটি কাউকে জানায়নি। পরে এক কিশোরী গর্ভধারণের পর পরিবার টের পায়। বিষয়টি জানার পর রোববার (১ জানুয়ারি) দুলারহাট থানায় ২ কিশোরীর একজনের বাবা মামলা করেন।
পরে পুলিশ লঞ্চে অভিযান চালিয়ে বুধবার লস্কর মফিজকে গ্রেফতর করে।
এনএমএম/এএল