প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ১১:৪৭ পিএম
চট্টগ্রামে সিনেমা হলের যাত্রা প্রায় শত বছরের। ঊনিষ শতকের শুরুর দিকে নগরির সিনেমা হলগুলো তৈরি হতে থাকে। পর্যায়ক্রমে ৩৫টির মতো সিনেমা হল হয়। কিন্তু বর্তমানে এর মাত্র একটি হল সচল। তবে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে আরো তিনটি আধুনিক সিনেমা হল।
শত বছরের চলচিত্র প্রদর্শন ব্যাবসার যুক্ত ৩৫ সিনেমা হলের মধ্যে, এখন সিনেমা প্রদর্শিত হয় শুধু মাত্র সিনেমা প্যালেসে। ১৯২৭ সালে যাত্রা শুরুকরা সিনেমা প্যালেসও বন্ধ হয়ে যেতে পারে যে কোন সময়।
ইতিমধ্যেই নগরীর লালদীঘির খুরশিদ মহল সিনেমা হল ভেঙে তৈরি হয়েছে মহল মার্কেট। স্টেশন রোডের উজালা সিনেমা হল ভেঙে করা হয়েছে এশিয়ান এসআর হোটেল। আগ্রাবাদের বনানী সিনেমা হলের জায়গায় হয়েছে বনানী কমপ্লেক্স। নিউমার্কেটের জলসা সিনেমা হল তুলে বসেছে জলসা মার্কেট। এভাবে লায়ন, গুলজার, নূপুর ও রঙ্গম সিনেমা হল ভেঙ্গেও করা হয়েছে বহুতল মার্কেট।
সাধারণ মানুষ বলছেন আকাশ সাংস্কৃতির প্রভাব, ডিভাইসে সহজলভ্যতা ও ভালো মানের চলচ্ছিত্রের অভাবে, দর্শক হারিয়ে ব্যাবসা গুটিয়েছে সিনেমা গলগুলো।
ক্ষরা কাটিয়ে চলচিত্র প্রদর্শন ব্যাবসার পালে হওয়া লাগাতে চট্টগ্রামে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে তিনটি আধুনিক হল । যাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন তথ্যমন্ত্রী ডা. হাসান মাহমুদ।
দর্শকরা যাতে আরাম আয়েস করে সিনেমা দেখতে পারে, সেজন্য আধুনিক সিনেমা হল নির্মাণে হল মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান চিত্র নায়িকা পরিমণি।
চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানালেন, সিনেমা হলের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
ভালো সিনেমা ও ভালো পেক্ষাগৃহ একটি অপরটির পরিপূরক। তাই ভালো সিনেমা ও হল হলে দর্শক আবারো হল মূখী হবে, আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।