প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০১:৩৫ এএম
বাগেরহাটের রামপালে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও মারপিটের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা লিটন মল্লিক (৩৫) সহ ২ জন আহত হয়েছে। আহত অন্যজন হলো জিয়াউর রহমান (৩২)।
খবর পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে আটক করেছে। গুরুতর আহত সুমনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের জেলা ছাত্র লীগের সদস্য সিদ্দিক ও তার দলের লোকেরা যুবলীগ নেতা লিটনের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এ সময় জিয়াউর রহমান ও অন্যরা বাঁধা দিলে তাদের ও মারপিট করে।
আহত লিটনের পিতা সিদ্দিক মল্লিক জানান, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় চেয়ারম্যানের মোড়ে সিএন্ডবি রাস্তার পাশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী সিদ্দিক, রাজ্জাক, অলিয়ার, জলিল, তারিক, বাবু, জুয়েলসহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী রাম দা, রড, হাতুড়ি ও হকিস্টিক নিয়ে আমার পুত্র লিটনের উপর হামলা করে। সন্ত্রাসীরা আমার পুত্রের মাথায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এবং দুই পা ভেঙ্গে দিয়ে জীবনে শেষ করে দেয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার চাই।
খবর পেয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ প্রিন্সসহ নেতৃবৃন্দ আহত যুবলীগ নেতা লিটনকে দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান।
কি কারণে বা কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানার জন্য অভিযুক্ত ছাত্র লীগের সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে আটক অলিয়ার রহমান জানান, আমি ঘটনার সময় ছিলাম না, আমি কিছু জানি না।
রামপাল থানার ওসি (তদন্ত) রাধেশ্যাম জানান, খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১১ জন আহত হন।
সাজেদ/