প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৩, ০১:৩০ এএম
ঝিনাইদহ সরকারী শিশু হাসপাতালের জন্য ২০০৮ সালে লিসটেম-৫০০ মডেলের একটি অত্যাধুনিক এক্সরে পাঠায় সরকার। শিশুদের রোগ নির্ণয় ও সুচিকৎসার জন্য এই এক্সরে মেশিনটি খুবই গুরুত্বপুর্ন ছিল। ৬ বছর শিশু হাসপাতালের স্টোরে বাক্সবন্দি থাকার পর বহু চিঠি চালাচালি করে ২০১৪ সালে এক্সরে মেশিনটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পর দেখা যায় এক্সরে মেশিনের মধ্যে ইঁদুর ঢুকে গুরুত্বপুর্ন তার ও কম্পিউটারাইজড সিসটেম নষ্ট করে দিয়েছে।
ক্ষুদ্র মেরামত করে চালানোর চেষ্টা করা হলেও মেশিনটির সব অংশ সচল করা যায়নি। ফলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে ৭ বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে আছে বিশাল সাইজের এক্সরে মেশিনটি। আগামী জুনে বরাদ্দ আসলে মেরামত করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের এক্সরে বিভাগের দায়িত্বে থাকা শফিকুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে শিশু হাসপাতালের জন্য সরকার মেশিনটি বরাদ্দ দেয়। ওই সময় এক্সরে মেশিনটি আধুনিক ছিল। কিন্তু ইঁদুর মেশিনের তার কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে। এক্সরে মেশিনের ফ্লসকপি সাইট নষ্ট হলেও রেডিওগ্রাফি সাইটটি সচল ছিল। মেরামতের অভাবে এখন পুরোটাই অচল হয়ে আছে। বরাদ্দ পেলে আগামী জুনে মেরামত করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, লিসটেম-৫০০ মডেলের এক্সরে মেশিনটির মুল্য আনুমানিক ৬০/৭০ লাখ টাকা হতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ শিশু হাসপাতালের প্রধান ডাঃ আলী হাসান ফরিদ জানান, তিনি ২০২১ সালে যোগদান করেছেন। এ বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। তবে শিশু হাসপাতালের জন্য এক্সরে মেশিনসহ বহু যন্ত্রপাতির চাহিদা মন্ত্রণালয়ে দেয়া আছে বলে তিনি জানান।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম জানান, এক্সরে মেশিনটি শিশু হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে ছিল। সেখানেই মেশিনের বিভিন্ন সাইট নষ্ট হয়ে যায়। এক্সরে মেশিনটি মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ আসলে আশা করা যায় সচল হবে।
সাজেদ/