প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম
তেতুলিয়া পঞ্চগড়সহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। রাস্তাঘাটে তেমন মানুষ চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। দুই-একটা গাড়ি লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে যাতায়াত করছে। অপরদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বয়স্করা হাসপাতালমুখী হয়েছেন।
দিনে এবং রাতে হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকে এর ফলে ঠাণ্ডা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে গেছে। অসুবিধে হয়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। যারা দিন আনে দিন খায় তারা একদিকে খাদ্য সঙ্কটে অপর দিকে শীতের তীব্রতা তাদেরকে কাবু করে ছেড়েছে। শীতবস্ত্রের অভাব দেখা দিয়েছে। নিরুপায় হয়ে খেটে খাওয়া মানুষ তীব্র শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন। গরম কাপড়ের অভাবে অনেকেই কাজ করতে পারছেন না। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে রাস্তার পাশে খড়কুটো জ্বালিয়ে লোকজন শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় উত্তরাঞ্চলের সবখানেই দৃশ্যমান। এমন অবস্থা বিরাজ করলে শীতকালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ গণমাধ্যমকে জানান, গত কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সন্ধ্যার পরে এই তাপমাত্রা আরও তীব্রগতিতে নেমে যায়।
এনএমএম/