• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মায়ের চেয়ে বড় সেই ছেলের এনআইডি সংশোধন, চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৩:২৯ এএম

মায়ের চেয়ে বড় সেই ছেলের এনআইডি সংশোধন, চাকরি ফিরে পাওয়ার আশা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

 জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) মায়ের চেয়ে ১৩ বছরের বড় দেখানো ছেলের বয়সের তথ্য সংশোধন করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার দুপুরে সংশোধিত এনআইডি’র কপি ভুক্তভোগী পাকু দাশের হাতে তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। সংশোধিত এনআইডি অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯৮৫ সালের ২০ এপ্রিল। তার বয়স এখন ৩৭ বছর ৮ মাস।

গত ৩১ অক্টোবরের এনআইডি অনুযায়ী, তার বয়স ৫৯ বছরের বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পাকু দাশকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি চাকরি হারানোয় দিশেহারা হয়ে পড়েন তারা। এনআইডি সংশোধন ও চাকরি ফিরে পেতে দুইমাস ধরে অনেকের কাছে ধর্না দিয়ে আসছিলেন পাকু দাশ ও তার পরিবার।

গত ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালের শেষ পৃষ্ঠায় ‘বয়স বেশি বলে গেল যুবকের চাকরি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর টনক নড়ে নির্বাচন কমিশনের। এদিকে সংশোধিত এনআইডি হাতে পাওয়ায় সিটি করপোরেশনের চাকরিও ফিরে পাওয়ার আশা করেন পাকু দাশ।

চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মা ও বোনের এনআইডি যাচাই-বাছাই করে পাকু দাশের এনআইডি’র বয়সের তথ্য সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত এনআইডি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’

জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের কপি পেয়ে সমকালকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পাকু দাশ বলেন, ‘চাকরি হারানোর পর দুইমাস ধরে এনআইডি সংশোধনের চেষ্টা করে আসছি। কিন্তু পারিনি। সংবাদ প্রকাশের পর দ্রুত সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। এখন চাকরি ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করবো। চাকরিটা ফিরে পেলে স্ত্রী, সন্তান, মা ও বোন নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।’

নভেম্বরের শুরুতে কলোনীর লোকজনের কাছ থেকে চাকরি হারানোর কথা শুনতে পান প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বঞ্চিত পাকু দাশ। এমন খবরে পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিটির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। খোঁজ নিতে ছুটেন সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার বয়স ৫৯ বছরের বেশি হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বাসায় এসে এনআইডি খুঁজে নিয়ে লোকজনকে দেখান পাকু দাশ। তারাই জানিয়েছেন, এনআইডিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৫৫ সালের ২০ এপ্রিল। অথচ তার মায়ের জন্ম ১৯৬৮ সালের ৩ আগস্ট। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, মায়ের চেয়ে ১৩ বছর ৩ মাস ১৪ দিনের বড় ছেলে। চাকরি ফিরে পেতে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও শ্রমিক নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন মা ও ছেলে।

পাকু দাশের চাকরি বহাল রাখার বিষয় জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের সদস্য সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘পাকু দাশ সংশোধিত এনআইডি জমা দিয়ে আবেদন করলে তার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‍‍`

আর্কাইভ