• ঢাকা সোমবার
    ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

মাগুরার শালিখা খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় ১৩০ টন চাল গায়েব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩, ০২:১০ পিএম

মাগুরার শালিখা খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় ১৩০ টন চাল গায়েব

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ১৩০ টন চাল কালো বাজারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মাগুরার শালিখা উপজেলার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমানকে শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী শফিকুরের বিরুদ্ধে থানায় শুক্রবার এ বিষয়ক এজাহার দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে শুক্রবার গ্রেফতার হন শফিকুর রহমানক। পরে আদালতের নির্দেশে শফিকুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত করছে দুর্নীতি কমিশন- দুদক।

শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী জানান, গত নভেম্বরের মাসে আড়পাড়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে সরকারি চাল পাচারের অভিযোগ ওঠে। যার প্রেক্ষিতে খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সালামের নির্দেশে মাগুরা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত চলাকালে প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে ১৩০ মেট্রিক টন চাল পাচারের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই গুদাম সিলগালা করেন। এছাড়া খাদ্য বিভাগের নির্দেশে শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরী নিজে বাদী হয়ে শালিখা থানায় অভিযোগ করেন। পুরো ঘটনা তদন্তে মাগুরা জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুষ্টিয়ার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের একজন সদস্য দিয়ে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

নাম না প্রকাশের শর্তে খাদ্য বিভাগের একজন কর্মচারী জানান, শালিখা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শফিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি চাল পাচার করে খোলা বাজারের সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রি করে আসছেন। তিনি আরও জানান, প্রতি ১৫ দিন পর পর গুদাম পরিদর্শন করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এত বড় ঘাটতি থাকা অবস্থায় নিয়মিতভাবে কীভাবে স্টক রেজিস্ট্রারে সই হলো তা রহস্যজনক। নিবিড় তদন্ত হলে এটির সাথে আরো অনেকের সংশ্লিষ্টতার প্রমান পাওয়া যাবে।

এ বিষয়ে মাগুরা জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনোতোষ কুমার মজুমদার বলেন, গুদাম সিলগালা করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কে জড়িত সেটা তদন্ত কমিটি এবং তদন্তকারী সংস্থা খুঁজে বের করবেন। যারাই জড়িত থাকুক নিশ্চয়ই আইনের আওয়তায় আসবেন, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবেন।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশারুল ইসলাম বলেন, শালিখা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সালমা চৌধুরীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আড়পাড়া সরকারি খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা শফিকুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

 

 

এনএমএম/এএল

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ