প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০৩:০১ এএম
নরসিংদীর বেলাবোতে নিখোঁজের ৮ দিন পর ৪ বছরের শিশুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের মেরাতলীকান্দা গ্রামের ঝোপ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া শিশু সোহানা (৪) মেরাতলীকান্দা গ্রামের সোহেল মিয়ার মেয়ে। সোহানা তার নানা মাসুদ মিয়ার বাড়িতে থাকতেন। তার বাবার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানার টেঙ্গাপাঁড়া গ্রামে। সোহানা জন্মের পর থেকেই তার নানার বাড়ি বেলাবতে থাকতেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, গত ১৯ ডিসেম্বর শিশু সোহানা নিখোঁজ হয়। তারপর একাধিক জায়গায় খোঁজাখুঁজি কররেও কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়ির পাশে আড়িয়াল খাঁ নদের তীরে একটি ঝোপের কাঠে চোখ উপড়ানো অবস্থায় শিশুটির লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। লাশের কিছু দূরেই শিশুটির পরনের হাফপ্যান্ট পড়ে ছিল। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে শিশুটির পরিবারের দাবি শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।
নিহত শিশুটির নানা মাসুদ মিয়া জানান, গত সোমবার দিন-দুপুরে আমার নাতি নিখোঁজ হয়। থানায় গিয়েছি জিডি করতে। কিন্তু পুলিশ বলে আড়িয়াল খাঁ নদে খোঁজ করতে। তাই পরে আর জিডি করা হয়নি। আমার ধারনা আমার শিশু নাতনীকে কেউ ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
নিহত শিশুটির বাবা সোহেল মিয়া বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে টঙ্গীতে বাসা ভাড়া নিয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করি। আমার শিশু সন্তান সোহানা তার নানা-নানির কাছেই থাকে। আমার নিষ্পাপ শিশুটিকে নির্যাতন করে যারাই হত্যা করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।
বেলাব থানার ওসি মো. তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এলাকাবাসীর অনেকেই বলেছে যেদিন শিশুটি নিখোঁজ হয় সেদিন তার পরনে কাপড় ছিল না। তাই ধর্ষণের বিষয়টি কতটুকু সত্য তা তদন্ত করে দেখছি। একইসঙ্গে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’
এআরআই