প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০২:০২ এএম
পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো করে। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কানন (২৮), আটোয়ারী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান আতা (৪৫), বিএনপি সমর্থক সিদ্দিকুল ইসলাম (৩৫), দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মেহেদি হাসান তুহিন (৩৫), বিএনপি সমর্থক রেজাউল ইসলাম (৪৫), বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাজু আহমেদ (২৮), তেঁতুলিয়া উপজেলার জামায়াতকর্মী জয়নাল আবেদিন (৪০) ও সাইফুল ইসলাম (৬৫)।
শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দাবিতে গণমিছিল বের করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পুলিশ তাদের বাধা দিলে ধাওয়া- পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও লাঠিচার্জসহ একের পর এক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। মিছিলে অংশ নেওয়া বোদা উপজেলার ময়দানীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫২) বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে লুটিয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১২ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ দুই বিএনপি নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আব্দুর রশিদ আরেফিন পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন বলে অভিযোগ বিএনপির। তবে পুলিশের দাবি, ওই ব্যক্তি হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, জনসাধারণের সম্পদ নষ্ট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে পাঁচটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ ১০০০-১২০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
সাজেদ/