প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৪:১২ এএম
বড়দিনসহ টানা তিন দিন ছুটি পেয়ে মেঘের রাজ্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের পর্যটন কেন্দ্রে ঢল নেমেছে পর্যটকের। পর্যটন কেন্দ্রটির কোনো কটেজ ও রিসোর্টে কক্ষ খালি নেই। এ অবস্থায় শুক্রবার থেকে শত শত পর্যটক রাস্তা, কটেজের বারান্দা, ক্লাবঘর ও স্কুলে রাতযাপন করছেন। অনেকে সাজেক থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, `বাংলাদেশের দার্জিলিং` খ্যাত সাজেকের রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রে রিসোর্ট-কটেজের সংখ্যা ১১২টি। এগুলোতে সর্বোচ্চ সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক বা অতিথি থাকতে পারেন। তবে তিন দিনের ছুটি থাকায় পর্যটকের সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়ায় কক্ষ-সংকট দেখা দিয়েছে।
সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্র চাকমা জানান, মেঘের রাজ্য সাজেকে শুক্রবার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত সব কটেজ-রিসোর্টের কক্ষ পুরোপুরি সংরক্ষিত। শুক্রবার ও শনিবার বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। কক্ষ খালি না থাকায় অনেক পর্যটক বারান্দা, স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি, স্কুল ও ক্লাব হাউসে থেকেছেন। তিনি জানান, অনেকে রাতযাপনের জন্য জায়গা না পেয়ে ফিরেও গেছেন।
একই তথ্য জানিয়েছেন সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাইও। তিনি জানান, কিছু সংখ্যক পর্যটককে রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে স্থানীয় কমিউনিটি হল ও ক্লাবগুলোতে রাতযাপনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
সাজেক ছাড়াও রাঙামাটির অন্য পর্যটন স্পটগুলোতেও ছিল পর্যটকের ঢল। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, পর্যটকরা বন্ধু-বান্ধব, আত্বীয়-স্বজনকে নিয়ে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুু, কাপ্তাই হ্রদসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। রাঙামাটি সরকারি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ৯০ শতাংশ কক্ষ এরই মধ্যে সংরক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া রাঙামাটি শহরের ভালো মানের বেসরকারি পর্যটন হোটেলগুলোতে ৮০-৯০ শতাংশ কক্ষ সংরক্ষিত আছে।
রাঙামাটি সরকারি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ূয়া জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তিন দিনে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন। চলতি মৌসুমে রাঙামাটির পর্যটন মোটেলে প্রত্যেক অতিথিকে কক্ষের জন্য ২০ শতাংশ রেয়াদ দেওয়া হচ্ছে।