প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:৪৩ এএম
ষাটোর্ধ্ব বিপত্নীক বৃদ্ধ অনিল চন্দ্র রায়কে (৬৫) তিন বছরের মধ্যে পাঁচ বিয়ে দিলেন একটি প্রতারক চক্র। তবে কেউই এক সপ্তাহের বেশি সংসার করেনি। চক্রটির পাতানো বিয়ে অল্পদিনে বিচ্ছেদ হতো। এতে করে বৃদ্ধের প্রায় ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের কোর্টপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে প্রতারিত বৃদ্ধ ও তার তিন ছেলে প্রতারক চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী অনিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘গত তিন বছর আগে আমার স্ত্রী মারা যায়। স্ত্রীর মৃত্যুতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। এতে এলাকার প্রতারক চক্রের সদস্য বাবুল (হাঁস বাবুল), সবুজ, আ. লতিফ, কালিপদ, রমজান আলী জ্বিন, হব্বু আমাকে বিভিন্ন প্রলোভনে খানসামা, গড়েয়া, মাড়েয়া, মিরগঞ্জ এলাকার মহিলাদের সঙ্গে বিয়ে দেয়। একে একে পাঁচটি বিয়ে দিয়েছে। আমি ওই মহিলাদের বাড়ি ঘর দেখিনি এবং কী নাম পর্যন্ত জানি না। তারা হাট বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আমাকে নিয়ে গিয়ে মহিলাদের দেখিয়ে কাগজে সই করে বিয়ে দেয়। বিয়ের পর বাড়িতে নিয়ে এলে ৩ থেকে ৪দিন আমার এখানে থেকে টাকা, কাপড় ও সোনাদানা নিয়ে প্রতারক চক্রদের সহযোগিতায় গোপনে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর প্রতারক চক্রের সদস্য হাঁস বাবুল, আ. লতিফ ফোন করে টাকা দাবি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। তারা আবারও টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে মহিলাদের দিয়ে নারী নির্যাতনে অভিযোগ দিয়ে জেল খাটানোর ভয়ভীতি দেখায়। সবশেষ ঠাকুরগাঁওয়ের এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আমার কাছে ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি ওই চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চাই।
এ ব্যাপারে হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। এলাকার একটি প্রতারক চক্র নানাভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। বিষয়টি দ্রুত গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এআরআই