• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

পুড়ে গেছে বিয়ের বাজার

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২২, ১০:৩৮ পিএম

পুড়ে গেছে বিয়ের বাজার

ভোলা প্রতিনিধি

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চর সিফলি গ্রামে বিয়ে বাড়িতে স্বর্নালংকারসহ বাজার-সদাই সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক নাছির হোসেন ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে সামসুন্নাহার বলেন, ছেলে ইসমাঈল হোসেনকে (৩২) বিয়ে দেবেন। মেয়ে দেখা হচ্ছে। বিয়ের বাজার-সদাই করেছেন। গতকালও স্বর্ণালংকার, কসমেটিকস, ঘরের আসবাব কিনেছেন। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আগুনে লেগে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

নাসির হোসেনের স্ত্রী বলেন, ঘর, আসবাব, চাল, টাকা, স্বর্ণালংকার, জামা-কাপড়, পানির ট্যাংক, খামারের হাঁস-মুরগি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া জমির সনদ, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার সনদ, ব্যাংকের চেক বই, এটিএম কার্ড কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

নাছির হোসেন বলেন, ‘তিল তিল করে গোছানো প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। মালামাল আল্লায় দিছে, আল্লায় লোই গেছে। কিন্তু পুতের বিয়ারসুম এমন দুর্ঘটনা। মনেরে বুজাইতাম পারি না।’

ছেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাত দেড়টা-দুইটার দিকে দেখি, রান্না ঘর থেকে আগুন আসছে। দুই ভাই, বোন, ভাগনি ও মাকে বাঁচাতে পেরেছি। চোখের সামনে সব পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিভিয়েছেন। পুলিশ ও গ্রামের লোক তাঁদের সাহায্য করেছেন। কিন্তু মালপত্র রক্ষা করতে পারেননি। রান্নাঘরে গ্যাসেই রান্না হয়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত বলতে পারব না। কেউ শত্রুতা করে আগুন দিয়েছে কিনা, বুঝতে পারছি না। আশপাশে আমাদের এমন কোনো শত্রু নেই।’

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির বলেন, তাঁরা চর সিফলি গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়টি জেনেছেন। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চর সিফলি গ্রামে বিয়ে বাড়িতে স্বর্নালংকারসহ বাজার-সদাই সবকিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিক নাছির হোসেন ও তার স্ত্রী সামসুন্নাহার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ বিষয়ে সামসুন্নাহার বলেন, ছেলে ইসমাঈল হোসেনকে (৩২) বিয়ে দেবেন। মেয়ে দেখা হচ্ছে। বিয়ের বাজার-সদাই করেছেন। গতকালও স্বর্ণালংকার, কসমেটিকস, ঘরের আসবাব কিনেছেন। গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আগুনে লেগে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

নাসির হোসেনের স্ত্রী বলেন, আগুনে ঘর, আসবাব, চাল, টাকা, স্বর্ণালংকার, জামা-কাপড়, পানির ট্যাংক, খামারের হাঁস-মুরগি সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ছাড়া জমির সনদ, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষার সনদ, ব্যাংকের চেক বই, এটিএম কার্ড কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

নাছির হোসেন বলেন, ‘তিল তিল করে গোছানো প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। মালামাল আল্লায় দিছে, আল্লায় লোই গেছে। কিন্তুক পুতের বিয়ারসুম এমন দুর্ঘটনা। মনেরে বুজাইতাম পারি না।’

ছেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাত দেড়টা-দুইটার দিকে দেখি, রান্না ঘর থেকে আগুন আসছে। দুই ভাই, বোন, ভাগনি ও মাকে বাঁচাতে পেরেছি। চোখের সামনে সব পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আগুন নিভিয়েছেন। পুলিশ ও গ্রামের লোক তাঁদের সাহায্য করেছেন। কিন্তু মালপত্র রক্ষা করতে পারেননি। রান্নাঘরে গ্যাসেই রান্না হয়। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত বলতে পারব না। কেউ শত্রুতা করে আগুন দিয়েছে কিনা, বুঝতে পারছি না। আশপাশে আমাদের এমন কোনো শত্রু নেই।’

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির বলেন, তাঁরা চর সিফলি গ্রামের একটি বাড়িতে আগুন লাগার বিষয়টি জেনেছেন। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।

 

এনএমএম/এএল

আর্কাইভ