• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ধোবাউড়ায় প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছেন কৃষক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ০৭:২৩ পিএম

ধোবাউড়ায় প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছেন কৃষক

ধোবাউড়া প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। কৃষক বাচঁলে বাচঁবে দেশ। উন্নত দেশগুলো কৃষিতে প্রযুক্তির মাধ্যমে যেমন কৃষকরা সুবিধা পেয়ে থাকে তেমনি বাংলাদেশেও কৃষিতে প্রযুক্তির সুবিধা পেতে শুরু করছে কৃষক। পাঁচ থেকে সাত বছর পূর্বেও জমিতে ধান চাষ করা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তখন কৃষকরা হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসল ফলাতো। দিনে গরু লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ করতো। পরে ধান কেটে বাড়িতে এনে রাতভর চলত মাড়াইয়ের কাজ। ধান কাঁধে বা ঠেলাগাড়ি দিয়ে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলেছে দৃশ্যপট। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় সেই চিরচেনা দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। প্রযুক্তির সহায়তায় কৃষকরা সহজেই ফসল উৎপাদন করছেন। জমি হালচাষ, ধান রোপণ, কর্তন এবং মাড়াই সব ক্ষেত্রে এখন প্রযুক্তির ব্যবহার। এতে কমেছে উৎপাদন ব্যয়। উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি পাচ্ছেন কৃষক। হারভেষ্টার মেশিন দিয়ে ধান মাড়াইয়ের পর জমি থেকে ধান বিক্রি করছেন কৃষক। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হওয়ায় ফসলের মাঠ থেকেই ধান ক্রয় করছেন ধান ব্যবসায়ীরা। উপজেলার ক্ষত্রিয়পাড়া, এরশাদ বাজার, ঘোষগাও, পোড়াকান্দুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফসলের মাঠে ধান কাটার পর সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা ধান কিনে নিয়ে আসছেন। বালিগাও গ্রামের কৃষক মান্না মিয়া বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবাধে ফসল উৎপাদনে অনেক সুবিধা পাচ্ছেন কৃষক। ধোবাউড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের অব. অধ্যাপক কৃষক আ. মোতালেব বলেন, ফসলের মাঠের পাশে রাস্তায় সারি সারি ধানের বস্তা রাখা হয়েছে সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা ধান কিনে নিয়ে আসছেন, এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলা সারোয়ার তুষার বলেন, কৃষিক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ছাড়া ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারবেস্টার, রিপাড়, মাড়াইযন্ত্র, পাওয়ার টিলারের ব্যবহার কৃষকের অনেক কাজে আসছে। কৃষিতে প্রযুক্তির সুবাধে দিন দিন উৎপাদন ব্যয় কমে ফসল উৎপাদন বাড়ছে।


এএল/

আর্কাইভ