• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দাফনের ১১দিন পর ময়নাদন্তের জন্য মাইশার মরদেহ উত্তোলন

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২, ০১:১৯ এএম

দাফনের ১১দিন পর ময়নাদন্তের জন্য মাইশার মরদেহ উত্তোলন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশার (৫) লাশ দাফন করার ১১ দিন পর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ প্রশাসন। ঢাকা একটি বেসরকারি হাসাপাতালে হাতের আঙ্গুল অপারেশন করতে গিয়ে মৃত্যু হয় মাইশার। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মাইশার পরিবার। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। 

সোমবার ১২ ডিসেম্বর বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামের থেকে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম সদর নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ রেদওয়ান ইসলাম, স্থানীয় কমিশনার মোঃ জমসেদ আলী টুংকু ও মাইশার পরিবারসহ এলাকাবাসী।

মাইশার বাবা মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। মেয়ের লাশ গোসলের সময় দেখতে পাই ২০ সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি মামলা করেছ আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাইশার মরদেহ বাড়িতে আনা পর্যন্ত কেন কাগজ পত্র দেন নাই বলে জানান মাইশার বাবা।’

তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন দাশ বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর ময়না তদন্তের স্বার্থে কবর থেকে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে আবেদন করে সম্মতি দিলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবারই মাইশার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়।’

কুড়িগ্রাম নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ রেদওয়ান ইসলাম বলেন, ‘মাইশার বাবার দেয়া মামলার প্রেক্ষিতে আজকে লাশ উত্তোলন করা হল।ময়নাতদন্তের পর যে রিপোর্ট আসবে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।’

আরও পড়ুন : মাদারীপুরে নার্সিং ইনস্টিটিউটে ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

উল্লেখ্য, শিশু মাইশার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। সাড়ে চার বছর আগে মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশার আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচার করার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়। পরে সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা। আঙ্গুলের অপারেশন করতে গিয়ে পেট কাটার ফলে মাইশার মুত্যু হয়।

পরিবারের দাবি, মাইশাকে হত্যা করে কিডনি, ভাল্ব বের করে নিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসকরা।

এআরআই

আর্কাইভ