প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৫:৫৬ পিএম
ঝিনাইদহ হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের (৬ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহ হানাদারমুক্ত হয়। এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর আক্রমণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের দোসররা। ঝিনাইদহ মুক্ত হয়েছে এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ মিছিল বের করে।
এরপর শহরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, ৫ ডিসেম্বর রাতে ফকির মাহমুদের নেতৃত্বে মিত্র ও মুক্তিবাহিনী সীমান্ত দিয়ে মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলা পার হয়ে সদর উপজেলার শৈলমারী বাজার এলাকায় অবস্থায় নেয়।
অপর একটি দল শৈলকুপা উপজেলার ভাটই ও গাড়াগঞ্জ এলাকায় অবস্থান নেয় একদল মুক্তিযোদ্ধা। দক্ষিণ-পূর্ব এলাকায় অবস্থায় নেয় আর এক দল মুক্তিযোদ্ধা। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা পাকিস্তানি সেনাদের অবস্থানের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে।
ওইসময় প্রাণে বাঁচার জন্য প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) আগুন ধরিয়ে দিয়ে ক্যাডেট কলেজে অবস্থায় নেয় পাকিস্তানি সেনারা। দুপুরের আগে শৈলমারী বাজার, শৈলকুপা এলাকা ও বিষয়খালী এলাকার পূর্বপাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন। দুপুর ২টার দিকে মুক্তি ও মিত্র বাহিনী একসঙ্গে হামলা শুরু করলে পালিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনারা। বেলা আড়াইটার দিকে হানাদারমুক্ত হয় ঝিনাইদহ।
কিউ/এএল