• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

যেখানে-সেখানে শিল্পকারখানা করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৪:৫৫ পিএম

যেখানে-সেখানে শিল্পকারখানা করা যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে দক্ষিণ এশিয়ার বাজার ধরতে চায় সরকার। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে কাজ চলছে।
কৃষি জমি নষ্ট করে যেখানে-সেখানে শিল্পকারখানা করা যাবে না। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) পাশাপাশি জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। সিঙ্গারের মতো একটি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানি এরই মধ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করেছে এবং জার্মান কোম্পানি রুডলফের সঙ্গেও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম উদ্বোধনের দিনে আরও দুটি জাপানি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ ছাড়া আরও ৩০টি জাপানি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন দেশের আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এর আগে বোরবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় বেজা কার্যালয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের (ডিজেএফবি) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্পূর্ণরূপে চালু হয়ে গেলে শিগগিরই আরও কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে। তাহলে এ জোনে ১.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার পাশাপাশি এক লাখেরও বেশি লোকের প্রাথমিক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সিঙ্গার প্রাথমিক বিনিয়োগ করবে ৭৯ মিলিয়ন ডলার এবং রাসায়নিক কোম্পানি রুডলফ ৭ মিলিয়ন ডলার প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করবে। ‘রেড ক্যাটাগরি’র অধীনে কোনো শিল্প বা সংস্থাকে কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের শিল্প স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না এবং প্রতিটি শিল্পকে ইটিপি স্থাপন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটি কেন্দ্রীয় ইটিপি স্থাপন করবে।

তিনি আরও বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য আরেকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য একটি প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিইএ) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এবং চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সরকার জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) অনুরোধ জানিয়েছে। জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি আলাদা ওএসএস সেন্টার এবং একটি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

২০১৯ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির পর বেজা এবং জাপানের সুমিতোমো করপোরেশন এখানে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপন করছে। দেশব্যাপী পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭৭টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৪১ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২২ হাজার ১৭৩.১৭৭ মিলিয়ন ডলারের সামগ্রিক বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে।

এ পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো- মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর (বিএসএমএসএন), জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ (ধলঘাটা) এবং শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল। এ ছাড়া বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।  
 

 

কিউ/এএল

আর্কাইভ