প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২২, ১০:২১ পিএম
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা কামরুজ্জামান মাছুমের নামে তার ফুফি তাসনুভা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। রবিবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেফতার করে থানার এসআই আবুল কালাম। সোমবার দুপুরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রয়েল জানান, পারিবারিক ঝগড়াকে ধর্ষণের চেষ্টা সাজিয়ে মিথ্যে মামলা করে তার উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে। উদ্যোক্তা জেলহাজতে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সকল ডিজিটাল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, উপজেলার পুটিজানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের তাসনুভা মমতাজের পরিবারের সাথে কামরুজ্জামামান মাছুমদের পরিবারের জমিজমা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছে। গত ২৮ নভেম্বর খড় শুকানোকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এ নিয়ে তাসনুভা মমতাজ থানায় মাছুমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার ৭ দিন পর রোববার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাছুমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান ফুলবাড়ীয়া থানার এসআই আবুল কালাম। এলাকাবাসী জানান, ঐ পরিবারে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। ধর্ষণ চেষ্টার মামলার বাদী ও তার পরিবার কমপক্ষে ১০টির মতো মামলা করে মাছুমদের পরিবারকে হয়রানি করেছে। এখনো আদালতে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে।
মামলার বাদী তাসনুভা মমতাজ জানান, মাছুম তার প্রতিবেশী ভাতিজা। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো পূর্ববিরোধ নেই। তবে তার মাকে মারধরের ঘটনায় একটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে।
চঞ্চল নামে একজন জানান, তারা একই বাড়িতে থাকেন। কমপক্ষে ১০টি মামলা দিয়ে মমতাজের পরিবার মাছুমের পরিবারকে হয়রানি করেছে। খড় শুকনোকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদকে ধর্ষণের চেষ্টা সাজিয়ে মিথ্যে মামলা করা হয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া থানার এসআই আবুল কালাম জানান, অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত করে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুটিজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রয়েল জানান, পারিবারিক ঝগড়াকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ধর্ষণের চেষ্টা সাজিয়ে মিথ্যে মামলা করে আমার উদ্যোক্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তাকে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করায় ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগ দেয়ার পর তদন্ত করে মামলা নেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নিয়ে তিনি বলেন, কিসের উদ্যোক্তা! উদ্যোক্তা হলো পুঁজি খাটিয়ে কোনো ব্যবসা করা। ওটা বন্ধ থাকলেই কি!
ফুলবাড়ীয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম জানান, সঠিক তদন্ত করে মামলা নেয়ার কথা ওসিকে বলেছি। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নিয়ে ওসির বক্তব্য সঠিক নয়। উদ্যোক্তারা জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত।
এএল/