প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:১২ পিএম
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত হয়। এই দিনে শত্রুমুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উড়ায় ঠাকুরগাঁও জেলার মুক্তিকামী মানুষ। যুদ্ধকালীন সময়ে এ জেলার হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও জেলার অনেক গণকবর এখানো সংরক্ষণ করা হয়নি।
জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশের রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘাঁটি করে পাক সেনারা। সদর উপজেলা সুখানপুকুরী, জাটিভাঙ্গা, জগন্নাথপুরসহ পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে পাক সেনারা নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা চালায়। লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে বসতবাড়িতে। পরে একত্র করে সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধে পৈশাচিক গণহত্যার শিকার হয় জেলার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ২ ডিসেম্বর পাক সেনাদের হটিয়ে শত্রুমুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উড়ায় মুক্তিকামী মানুষ।
স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও জেলার অনেক গণকবর আজও অরক্ষিত পড়ে আছে। বিলীন হতে বসেছে চিহ্ন। অন্যদিকে যেসব গণকবর সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলোও দেখভালের অভাবে নোংরা-আবর্জনায় পড়ে আছে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, প্রকৃত গণকবরগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সময় কার্যত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় শতাধিক গণকবর থাকলেও অধিকাংশ গণকবর চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে বেশকিছু গণকবর সংরক্ষণ ও সংস্কারের প্রয়োজনে কাজ চলমান।
সজিব/এএল