প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৮:৫৫ পিএম
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন পাটওয়ারী হত্যা মামলায় একেএম ফরিদ উদ্দিনসহ ৫ যুবদল নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার বেলা ১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ফরিদ জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে হত্যার মামলার পাশাপাশি অস্ত্র মামলাও রয়েছে বলে জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল গণি, যুবদল নেতা আক্তার হোসেন, শিপন ও পারভেজ। তারা যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বে রয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পাবলিক পসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, আলাউদ্দিন হত্যা মামলায় যুবদল নেতা ফরিদসহ ৫ অভিযুক্ত উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের জামিন নেন। নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ায় তারা লক্ষ্মীপুর জজ আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় আরও ৩ আসামি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এজাহার সূত্র জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন তার ছেলে মেহেদি হাসান আকাশ বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ফরিদসহ আমাদের নেতাকর্মীদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল নিয়ে তাদের লোকজনই আলাউদ্দিনকে হত্যা করেছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান বলেন, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা। ফরিদ ও গণিসহ গ্রেফতারকৃতরা কেউই হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা উচ্চ আদালতে তাদের জামিন আবেদন করবো। উচ্চ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করবেন বলে আমরা আশাবাদি।
সাজেদ/