প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৬:১২ পিএম
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন খাতে সরকারি বরাদ্ধের প্রায় ২ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভাগীয় উপ-পরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগ এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার (মাগুরা) মো. বাবুল আখতারকে প্রধান ও রুপসা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ আবদুর রবকে সদস্য করে দুই সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এর মধ্যে তদন্ত কমিটি আগামী ২৯ নভেম্বর মোংলা উপজেলা শিক্ষা অফিসে সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযুক্ত সকল শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকদের বিগত তিন বছরে সরকারি বরাদ্ধের সকল হিসাব নিকাশের ভাউচারসহ প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট সহকারে তদন্ত কমিটির সম্মুখে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে সরকারি বরাদ্ধের টাকা লুটপাটের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইতোমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পুস্পজিৎ মন্ডল ও গুরুদাশ বিশ্বাস। এরই মধ্যে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ওই দুই শিক্ষা অফিসার দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে। জানাযায়, বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্লাস্টার না হলেও মিঠাখালী ইউনিয়নের ২২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বুধবার (২৩ নভেম্বর) এটিসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৈঠক করেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার গুরুদাশ বিশ্বাস।
ওই বৈঠকের বিষয়ে এটিসি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সন্তোশ মন্ডল জানান, তদন্ত কমিটি যেন অনিয়ম ধরতে না পারে সে বিষয়ে নানা নির্দেশনা দিয়েছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার গুরুদাশ বিশ্বাস। বিষয়টি জানতে সহকারী শিক্ষা অফিসার গুরুদাশ বিশ্বাসের মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বৈঠক হয়েছে। আপনী তো ওইসব স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার না, তার পরও কী বিষয়ে বৈঠক করলেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে নেটওয়ারর্ক সমস্যা বলে ফোনটি কেটে দেন।
জানা যায়, মোংলা পৌর শহরের সব কটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বুড়িরডাঙ্গা স্কুলের সকল প্রধান শিক্ষদের নিয়ে দুই দফায় বৈঠক করেছেন সহকারী শিক্ষা অফিসার পুস্পজিৎ মন্ডল। সে বৈঠকে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করতে সিদান্ত হয় বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। গেল অর্থ বছরে স্কুল ভবন সংস্কার,স্লিপের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় ও শিশুদের খেলার সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ২ কোটি টাকার অধিক বরাদ্ধ দেয় সরকার।
মোংলা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলীর স্বাক্ষর জাল করে প্রত্যায়ন তৈরি করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করেন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসার। বিল উত্তোলনের সঙ্গে দাখিলকৃত প্রত্যায়নপত্রে স্বাক্ষর থাকা মোংলা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী লাবিব হোসেন ওইসব প্রত্যায়ন জাল বলে দাবি করেন।
এএল/