প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২২, ০৭:১৫ এএম
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে ইউনিয়নের খলেয়া নন্দরাম পাল পাড়ায় গিয়ে রাস্তার পাশে কাটা গাছগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) গাছ কাটা হয়েছে এবং এর কয়েকদিন আগে আরও কয়েকটি গাছ এভাবেই নিয়মের তোয়াক্কা না করে চেয়ারম্যানের নির্দেশে কাটা হয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন বলেন, ‘গাছগুলো কাটার অনুমতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহেব দিয়েছিলেন। তারপর লোকজন গাছগুলো কেটেছে।’
রফিকুল ইসলাম নামে আরেক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, তাল গাছ ২টা অনেক পুরাতন ছিল। রাস্তার পাশে গাছগুলো ভালোই ছিল, হঠাৎ যে কেন চেয়ারম্যান গাছগুলো কাটালো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজুমদার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, খিয়ারের ডাঙা কবর স্থান মোড় থেকে কাশিয়াবাড়ি খলেয়া নন্দরাম পাল পাড়া রাস্তার ধারের ৪ থেকে ৫টি বড় বড় তাল ও আমের গাছ ইউপি চেয়ারম্যান বাবু কুমারেশ চন্দ্রের নির্দেশে তার লোকজন কেটেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি একটা রাস্তার গাছ কাটলো কোনো আইন না মেনে চেয়ারম্যানের নির্দেশে। এমনকি আমি এই ওয়ার্ডের প্রতিনিধি আমাকেও চেয়ারম্যান জানায়নি। এটি পুরো বেআইনি।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে সরেজমিনে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েও হাড়িয়ারকুঠি চেয়ারম্যান বাবু কুমারেশ চন্দ্র রায়কে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তারাগঞ্জ উপজেলা বন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান খান মুঠোফোনে বলেন, হাড়িয়াকুঠি ইউনিয়নে রাস্তার গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। রাস্তার গাছ যে কেউ চাইলে এভাবে কাটতে পারে না। গাছ কাটাকে মালিক নির্ধারণ করতে হয় এরপর বন বিভাগের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে এবং আমরা মূল্য নির্ধারণ করে দিব তারপর কাটতে হবে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা বন কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তের পরে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
/এএল