প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২, ১১:৪৮ পিএম
মাগুরা শহরের ঘোড়ামারা গ্রামের আমজাদ হোসেন। ২০০৫ সালের দিকে কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হন তিনি। বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেয়েও সুস্থ না হওয়ায় শহরের মনোরঞ্জন কবিরাজ নামের একজন চিকিৎসকের পরামর্শে জার্মানির তৈরি হোমিও ওষুধ সেবন করে আরোগ্য লাভ করেন। এর পর থেকেই জার্মানির প্রতি তাঁর ভালোবাসা। ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসলে তিনি ঠিক করেন জার্মানির ওষুধ সেবন করে যেহেতু ভালো হয়েছেন, তাই দেশটিকে একটা উপহার দেবেন। তখন প্রায় ৩৫০ গজ লম্বা জার্মানির পতাকা তৈরি করেন।
২০১০ সালের বিশ্বকাপের সময় পতাকা হয় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ। ২০১৪ সালে সাড়ে তিন কিলোমিটার। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পতাকার দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। এবার কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমজাদ হোসেন তৈরি করছেন সাড়ে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ জার্মানির পতাকা।
শুক্রবার সকালে সেটি স্থানীয় নিশ্চিন্তপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রদর্শন করেন তিনি। পেশায় কৃষক আমজাদ হোসেনের পাঁচ ছেলে ও পাঁচ মেয়ের। বড় ছেলে মালয়েশিয়া থাকেন। এ ছাড়া দুই ছেলে ছোট চাকরি করেন। অন্য দুই ছেলে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। পাঁচ মেয়ের মধ্যে চারজনের বিয়ে হয়েছে। শুরুর দিকে পতাকা তৈরি করতে গিয়ে পরিবারের কারও সমর্থন না পেয়ে নাছোড়বান্দা আমজাদ জমি পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। তবে এবার সন্তানরাই পতাকা তৈরির খরচ দিয়েছেন।
আমজাদ হোসেন বলেন,জার্মানির এই পতাকা ভবিষ্যতে আরও দীর্ঘ হবে। এছাড়া এবারের বিশ্বকাপে তার প্রিয় দল জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হবে।
পতাকা প্রদর্শনীর দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন জার্মান ফুটবল দলের ভক্তরা। তাদের আশা এবার কাতার বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবে জার্মান দল।
কিছুটা অর্থ জোগাড় করতে পারলেই সেটি কাজে লাগিয়ে দেন জার্মানি পতাকা তৈরীর কাজে, জানান তার স্ত্রী ও সন্তান।
দীর্ঘ পতাকা তৈরিতে খুশি হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজার রহমান। দীর্ঘদিন ধরে জার্মানির দীর্ঘ পতাকা তৈরীর কারণে এলাকায় তিনি এখন পরিচিত হয়েছেন পতাকা আমজাদ নামে।
এসএই