• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

সৈয়দপুরে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের নামে লটারি জুয়ার আয়োজন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২, ১০:০১ পিএম

সৈয়দপুরে প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের নামে লটারি জুয়ার আয়োজন

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রমীলা প্রীতি ফুটবল ম্যাচের নামে বেআইনিভাবে লটারি জুয়ার আয়োজন করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। উপজেলার বোতলাগা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান জুনের উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হবে। 

এমন কাজকে উপজেলা ও থানা প্রশাসন অনুমোদন দেয়ায় সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেইসঙ্গে সদ্য নির্বাচিত উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নের উঠেছে। জানা যায়, আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হবে। 

এতে প্রধান অতিথি করা হয়েছে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম। সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পদাধীকারবলে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ফয়সাল রায়হান। 

বিশেষ অতিথি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মহসিনুল হক মহসিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।
আয়োজক হিসেবে বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ দেখানো হয়েছে। শুধুমাত্র ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠানের বিষয় জানানো হয়েছে। 

কোনো কাগজেই লটারি পরিচালনার উল্লেখ নেই। এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে বোতলাগাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী মাঠসহ স্কুলের কমন রুম ব্যবহারে অনুমতি দেয়াসহ খেলা পরিচালনায় সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের লিখিত আশ্বাস দিয়েছেন। মাইকিং করা হচ্ছে ওইদিন খেলা উপলক্ষে লটারি জুয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য ২০ টাকা মূল্যের টিকিট ছাপিয়ে তা সৈয়দপুর উপজেলাসহ আশপাশের দিনাজপুরের খানসামা, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর, নীলফামারীর সদর, কিশোরগঞ্জ, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বিক্রি করা হচ্ছে। 

ফলে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে সাধুবাদ জানালেও অনুমোদনহীন লটারি জুয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, মেয়েদের ক্রীড়ায় উৎসাহী করতে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে সম্মতি দেয়া হয়েছে। খেলার আড়ালে লটারির মতো অন্য কোনো কাজের অনুমতি কোনোভাবেই দেয়া হয়নি। তাই এমন কিছু করতে দেয়া হবে না। এখনই তা বন্ধ করা হবে।


নীলফামারী জেলা প্রশাসক ইয়াসির আরেফিন বলেন, লটারি এক প্রকার জুয়া। এই অবৈধ কাজের অনুমতি ইউএনও বা ওসি কোনোভাবেই দিতে পারে না। দিয়ে থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং অবিলম্বে এই আয়োজন স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হবে।

এএল/

আর্কাইভ