• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল লুটের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২২, ১০:৩৪ পিএম

চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল লুটের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরে চালককে হত্যা করে মোটরসাইকেল লুটের মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত।

রায় ঘোষণার সময় নূর ইসলাম ওরফে নজরুল ইসলাম (৪৪) নামে একজন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। নূর ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মহেষপুরের গ্রামের মো. ইস্রাইলের ছেলে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আলফাডাঙ্গা উপজেলার কোনা গ্রামের কবির শেখের ছেলে মনির শেখ (৩৪), মৃত আকরাম মোল্যার ছেলে ইকতার মোল্যা (৩৩), বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে এনায়েত আমীন (৩৯) ও কাশিয়ানীর ব্যাসপুর গ্রামের মৃত ইছাহাক শেখের ছেলে মিরাজ ওরফে মিরুজ (৩৯)। তারা সবাই পলাতক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সকালে আলফাডাঙ্গার ধুলজুড়ি গ্রামের মৃত ছবুর শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে কালাচানের (৩০) মৃতদেহ একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আক্কাস শেখ বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কালাচান ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।

তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম। মামলায় বাদী ও দু’জন পুলিশসহ আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

রায় ঘোষণার সময় আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার কোনো পরিকল্পনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারা ঘটনার আগের দিন বিকেলে কোনা গ্রামে এক হয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে একটি গাড়ি ঠেকাবেন। সে অনুযায়ী রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার দু‍‍`পাশে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে কালাচানকে ফেলে মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর মনির মোটরসাইকেলটি রাখেন আর অন্যরা কালাচানকে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কালাচানের মৃত্যু হয়।

 মামলায় নিযুক্ত এপিপি অ্যাডভোকেট নবাবউদ্দিন বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

 আইএ/

আর্কাইভ