• ঢাকা শনিবার
    ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সৈয়দপুর বিসিকে প্লট না থাকায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২, ০৫:৪৪ পিএম

সৈয়দপুর বিসিকে প্লট না থাকায় কৃষি জমিতে গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরী দীর্ঘদিনেও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে না। ফলে শিল্প উদ্যোক্তারা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে জমি কিনে আবাদি জমিতে শিল্প কারখানা গড়ে তুলছেন। যত্রতত্র অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও ভারি শিল্প কারখানা। এতে একদিকে বায়ু দূষণ হচ্ছে অন্যদিকে কমছে আবাদি জমি। কৃষিপ্রধান জেলা নীলফামারী। এখানকার অধিকাংশ জমি তিন ফসলী। বর্তমানে কৃষির পাশাপাশি শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসছে শিল্প উদ্যোক্তারা। কিন্তু শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তেমন সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন উদ্যোক্তারা।
শিল্প কারখানায় জেলাকে সমৃদ্ধ করার স্বার্থে ১৯৯০ সালে সৈয়দপুরে ১১ একর জমি নিয়ে সৈয়দপুর বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়। শিল্প নগরী প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই ৯২টি প্লটের সবগুলোতেই শিল্প কারখানা গড়ে ওঠে। কিন্তু পরবর্তীতে নতুন নতুন শিল্প উদ্যোক্তারা শিল্প প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে এলেও শিল্প নগরীতে তারা কোনো জায়গায় পাননি।
এমনকি দীর্ঘ কয়েক বছরে বিসিকের কর্মকর্তারাও প্লট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেননি। তবে এটি জেলার শিল্প উন্নয়ন রুখে রাখতে পারেনি। বিসিকে প্লট না থাকায় ও নির্দিষ্ট শিল্প নগরী না থাকায় জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে শত শত একর তিন ফসলি জমিতে শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। এতে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শিল্প কারখানার মালিকরা বলছেন, বিভিন্ন সমস্যা থাকার পাশাপাশি বিসিকে জায়গার স্বল্পতা ও শিল্প নগরী না থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামে জমি কিনে প্রতিষ্ঠান গড়তে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) উপব্যবস্থাপক হুসনে আরা খাতুন বলেন, কৃষি জমির ক্ষতি যাতে না হয় সে জন্য আমরা জেলায় দ্রুত নতুন একটি বিসিক শিল্প নগরী স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠায় নীলফামারীতে দেশি বিদেশি উদ্যোক্তাদের সমাগম বাড়ছে। অচিরেই বৃহৎ শিল্প নগরী স্থাপন হলে জেলার কৃষি জমিগুলো ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে। নীলফামারীর চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসের সূত্র মতে, জেলায় এখন হাজারেরও ওপরে শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় লক্ষাধিক মানুষ কাজ করেন।

এএল/

আর্কাইভ