• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

দুলাভাইয়ের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্নের ঘটনায় শ্যালক গ্রেফতার

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২, ০৬:০১ এএম

দুলাভাইয়ের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্নের ঘটনায় শ্যালক গ্রেফতার

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পারিবারিক কলহের জেরে দুলাভাই নুর নবীকে (৩০) দা দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্নের ঘটনায় শ্যালক আবু সালেহকে (২০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সৈয়দপুর শহরের ঢেলাপীর নামক স্থান থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ডিকসো মোল্লাপাড়ার হাফিজুল ইসলামের ছেলে নুর নবীর সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ার আবেদ আলীর মেয়ে আবেদা খাতুনের (২৪)। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে মতবিরোধ চলছিল গৃহবধূ আবেদা খাতুনের। এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। সম্প্রতি বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ালে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে পুলিশ তা মীমাংসা করে দেয়। পরে আবারও তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে গৃহবধূ আবেদা খাতুন দেড় মাসের শিশু সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। এরই জেরে ওই গৃহবধূর ভাই আবু সালেহ তাঁর দুই সহযোগী নুর আমিন ও ফিরোজ ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুলাভাই নুর নবীর বাড়িতে যান। সেখানে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শ্যালক আবু সালেহর সঙ্গে থাকা ধারালো দা দিয়ে দুলাভাইকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে নুর নবীর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন মা মোক্তামাইনা বেগম। তাঁদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। কিন্তু তার আগেই শ্যালক আবু সালেহ সেখান থেকে সটকে পড়েন। তবে গ্রামবাসী দুই সহযোগীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আহত মা ও ছেলেকে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। পরে তাঁদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর পরই শ্যালকের দুই সহযোগী নুর আমিন (১৮) ও ফিরোজ ইসলামকে (২০) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। পরবর্তীতে আজ সকালে আহত নুর নবীর চাচা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আহত নুর নবীর চাচা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

এসএই

আর্কাইভ