প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৫:৫৫ এএম
কুড়িগ্রামে কালের বিবর্তনে দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। রূপসী-গ্রাম বাংলার খড়ের ঘর আজ প্রায় বিলুপ্ত।
এক সময় উপজেলার প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়, গ্রাম-গঞ্জে সেই চিরচেনা খড়ের ছাউনির তৈরি ঘরের প্রচলন ছিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত রূপসী বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। যেখানে প্রতিটি গ্রাম-গঞ্জে ছনের তৈরি ঘর চোখে পড়ত।
কিন্তু, বর্তমানে কয়েকটি গ্রাম ঘুরেও মিলেনি সেই সময়ের চিরচেনা ছনের তৈরি ঘর। বর্তমানে টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে ছনের ছাউনির ঘর ছিল। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ খড় দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত। গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে গরম, তাই তারা এই ঘরকে এসি ঘর বলে। উচ্চবিত্তরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন ব্যবহার করতো।
এক সময় প্রতিটি বাড়িতে খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর ছিল। খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর ছিল খুবেই আরামদায়ক। গরম কালে ঠান্ডা আর শীত কালে গরম অনুভূত ছিল।
কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে চিরচেনা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খড়ের ছাউনির তৈরি ঘর। হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে।
আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে। তবে অনেকে পূর্বপুরুষদের স্মৃতি ধরে রাখতে ২-১ টি খড়ের ছাউনির ঘর টিকিয়ে রেখেছেন।
এসএই