• ঢাকা শুক্রবার
    ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জিয়াউর রহমান জাতির জনককে হত্যা করেছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২২, ১০:৪০ পিএম

জিয়াউর রহমান জাতির জনককে হত্যা করেছে : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

দেশজুড়ে ডেস্ক

জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে জাতির পিতাকে হত্যা করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতার পরিবারের রক্তে রঞ্জিত করেছিল জিয়াউর রহমানের হাত। তার ছেলে তারেক জিয়া জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আর মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী তারেকের সাজাপ্রাপ্ত মাকে মানবিক বিবেচনায় বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন।’

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর)  মৌলভীবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত দু’দিনের  সাহিত্য মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের  উদ্বোধনী বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২১টি বছর স্বৈরাচার ও স্বাধীনতা বিরোধীচক্র ছাত্রদের ভুল ইতিহাস পড়িয়েছে। এ বিকৃত ইতিহাসকে সঠিক অবস্থায় নিয়ে আসতে ৪২ বছর লাগবে।’ তিনি সাহিত্য মেলায় উপস্থিত কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যে বলেন জীবনের প্রথম ভোটটি স্বাধীনতার প্রতীক নৌকায় দেয়ার আহ্বান জানান। এরপর তাদের ভোট দিতে অঙ্গীকার করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির মিলন ঘটাতে হবে। তবেই দেশের মানুষ শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে যাবে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় একজন যোগ্যতাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ হিসেবে গড়ে ওঠা যায় না। তার জন্য প্রয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭৭ ভাইয়ের এক বোন লীলা নাগের মতো বহুমুখী প্রতিভার সাক্ষর রাখতে হবে।

প্রধান বক্তা অসীম কুমার উকিল এমপি বলেন, ফেসবুকের প্রতি আসক্তি কমিয়ে বইপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। সাহিত্য মেলার মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবহেলিত সাহিত্যিকবৃন্দকে তালিকাভুক্ত করা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে ৬৪ জেলায় পরবর্তীতে ৯২টি উপজেলায় সাহিত্য মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব করা হবে।

সাহিত্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মাসুদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক নেছার আহমদ এমপি, প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন অসীম কুমার উকিল এমপি। আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির পরিচালক নুরুন্নাহার খানম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  হাসান মো. নাছের রিকাবদার, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুর রহমান। বক্তব্য দেন সাহিত্য মেলায় জেলার সাহিত্য সংস্কৃতি ও অগ্নিবীণার কবি নজরুলকে নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী সাহিত্যিক সৈয়দ মুহিবুল আমিন ও আব্দুল মতিন।

এরপর শিল্পকলার একাডেমির শিল্পীদের আয়োজনে রবী ঠাকুরের আজি হতে শতবর্ষ পরে, জাতীয় কবির বিদ্রোহীসহ জীবনানন্দ দাশ, কবি সুকান্তের কবিতার অংশবিশেষ আবৃতি করেন। এরপর মৌলভীবাজার জেলার কথা সাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ ও অন্যান্য প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাহিত্যিক সৈয়দ মুহিবুল আমিন। তার প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন কথা সাহিত্যিক আকমল হোসেন নিপু। অন্যদিকে নাট্য ব্যক্তিত্ব আব্দুল মতিনের লেখা জয়তু অগ্নিবীণা শতবর্ষ পরেও প্রাসঙ্গিক। এ প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ড. ফজলুল আলী।

এআরআই/এএল

আর্কাইভ