• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১

একবারও যাননি নদীতে তাদের নামেও রয়েছে জেলে কার্ড

প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম

একবারও যাননি নদীতে  তাদের নামেও রয়েছে জেলে কার্ড

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভিন্ন পেশার মানুষকে জেলে বানানোর অভিযোগ উঠেছে। বংশ পরম্পরায় জেলে, মাছ শিকার ছাড়া যাদের বাঁচার কোনো উপায় নেই, সেই প্রকৃত জেলেরাই সরকারি তালিকায় নিবন্ধিত হতে পারেননি। নিবন্ধন না থাকায় কোনো খাদ্য সহায়তাও তারা পান না। আবার কার্ডধারী হলেও টাকা না দিতে পারলে তাদের নাম তালিকায় থাকে না। জীবনে একবারও যাননি নদীতে তিনি নিবন্ধিত জেলে। জেলে তালিকায় সবার আগে তাদের নাম। তালিকায় রয়েছে ইউপি সদস্য, চৌকিদার, প্রবাসী, ব্যবসায়ী, নাপিত, কৃষক-শ্রমিক, রিকশাচালক, গাড়ির ড্রাইভার। এতে প্রকৃত জেলেরা সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চর ফলকন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রুহুল আমিন বলেন, তিনি ৩০ বছর জেলে পেশায় আছেন কিন্তু তার জেলে কার্ড নেই। তিনি বলেন, আমার মতো অনেক জেলে নদীতে মাছ ধরে কিন্তু তাদের কার্ড নেই। অথচ যারা নদীতে মাছ ধরে না এ রকম অসংখ্য মানুষের জেলে কার্ড আছে। একইভাবে অভিযোগ করেন কালকিনির জসিম, সাদ্দাম হেলাল, চর মার্টিন ইউনিয়নের শাহাজান, মিরাজ, আবুল কালাম। জেলেদের তথ্য মতে, ভুয়া জেলে রয়েছে কয়েক হাজার। তেমনি প্রকৃত জেলে বাদ পড়েছেন কয়েক হাজার। পাটোয়ারী রেস্টুরেন্টের মালিক মহিবুল উল্লাহ পাটোয়ারীর নামেও রয়েছে জেলে কার্ড। বাজারের স‍‍`মিল ব্যবসায়ী মো. সিরাজ, মুদি দোকানী দুলালের রয়েছেও কার্ড। এমনিভাবে জেলে কার্ড  পেয়েছেন ব্যবসায়ী, পল্লী চিকিৎসক, প্রবাসী, সেলুন ব্যবসায়ী, মেডিকেল প্রমোশন অফিসারসহ অনেকে। এছাড়াও কার্ড  পেয়েছেন কালকিনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, শামিম, ব্যবসায়ী, মো. আমজাদ হোসেন, মো. মনির হোসেন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ইউনিয়ন ডিলার, সামিম ব্যবসায়ী, মো. হান্নান ব্যবসায়ী, মো. শাহাজান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  কামরুজ্জামান জানান, জেলে নয়  এমন কেউ নিবন্ধিত হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেব। উপজেল সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, জেলে নয় জেলে তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছে এই রকম এক হাজার জেলে হলেও নিবন্ধন তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে।
কালকিনি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি জেলেদের নেতৃত্ব দেন তাই তার নামে জেলে কার্ড আছে, তবে তিনি সরকারি কোনো সহায়তা নেন না।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিলার মো. মনির হোসেন জানান, তার নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য থাকায় তার নামে জেলে কার্ড, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এএল/

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ