• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সৈয়দপুরে শিক্ষক হেলাল ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি পরিবারের

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২২, ০৭:০২ এএম

সৈয়দপুরে শিক্ষক হেলাল ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি পরিবারের

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক আলহাজ্ব জুলফিকার রহমান (হেলাল) ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি পরিবারের।

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে শহরের একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান শিক্ষক হেলালের ছেলে সাদমান আজিজ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী মেহেরুন নেছা, বড় মেয়ে সাজিয়া জাফরিন ও ছোট মেয়ে সিলভিয়া ফারহিন।

লিখিত বক্তব্যে ছেলে সাদমান আজিজ বলেন, আমার বাবা মো. জুলফিকার রহমান (হেলাল মাস্টার) সৈয়দপুর উপজেলার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সততা, নিষ্ঠা ও সুনামের সহিত শিক্ষকতা করে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর পরবর্তী সময়ে আমার বাবা নামাজ বন্দেগীতেই ব্যস্ত থাকেন এবং ছোট পরিসরে কাঠের ব্যবসা করে থাকেন।

গত ২ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ায় বাবার চাচা শ্বশুড় মো. আজিজুল ইসলামের কাছে ক্রয়কৃত দুটি গাছ কাটার জন্য শ্রমিকদের নিয়ে তার বাসায় যান। শ্রমিকরা গাছ কাটা শুরু করলে তার কন্যা ইষা ইবনাত (২২) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাবা তাকে বলে আমি তোমার বড়, আমার সঙ্গে এমন আচরণ করছো কেন। তার পরেও ইষা ইবনাত খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় উপস্থিত লোকজনের পরামর্শে বাবা সেখান থেকে চলে আসেন।

ঘটনার পরে ইষা ইবনাত তার মা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা মাহাবুবা শারমিন ও মো. জহুরুল ইসলামকে (খোকনে) সঙ্গে নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে। মামলা নং জি আর ২৬৩/২২, তারিখ: ০২/১১/২০২২ ইং।

বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম (খোকন) আমার মায়ের কাছে এসে জানায়, দুলাভাইয়ের নামে মামলা হয়েছে ১ লাখ টাকা দিলে তাকে মামলা থেকে বাঁচায়ে দেব। এ ছাড়াও আমার বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমার মা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ইষা ইবনাত একজন দুশ্চরিত্রা ও মাদক সেবী। সে বড় লোকের ছেলেদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে । অর্থ আদায় করে ডিভোর্স দেয়। এখন পর্যন্ত সে চারটি বিয়ে করেছে।

সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়ররত অবস্থায় ২০১৩ সালে মাদকাশক্ত ও উচ্ছৃখল আচরণের কারণে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে বের করে দেয়। মেয়ের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তার বাবা মো. আজিজুর ইসলাম ৪ বছর ধরে গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। আমার বাবা সম্পূর্ণ নির্দোষ ও ষড়যন্ত্রের শিকার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা বাবার ন্যায়বিচার চাই।

 

এসএইি/এএল

আর্কাইভ