• ঢাকা রবিবার
    ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অভিমানে কেটে ফেলা হল ৮ শত ড্রাগন গাছ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২, ১১:৫০ পিএম

অভিমানে কেটে ফেলা হল ৮ শত ড্রাগন গাছ

ময়মনসিংহ ব্যুরো

বাজারে পাওয়া ড্রাগন ফল তুলনামুলকভাবে বড়। দামও বেশি। এক পাশে লাল থাকলেও অপর পাশে থাকে সবুজ। ক্রেতারা রাসায়নিক হরমোন দিয়ে পাকানো ফল বেশি দাম দিয়ে কিনে প্রতারিত হয়। রাসায়নিক ছাড়া জৈব সার দিয়ে পরিচর্চা করা ড্রাগন ফল তুলনামুলক ভাবে ছোট হয় দামও হয় কম। এসব কারনে অভিমান করে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ড্রাগন চাষী ড. আবু বকর প্রিন্স তার বাগান থেকে ৮শতাধিক ড্রাগন গাছ কেটে ফেলেছেন। 

২০১৪ সালের দিকে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের হাতিলেইট গ্রামে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবু বকর প্রিন্স কিষান সমন্বিত কৃষি নামে একটি কৃষি খামার গড়ে তুলেন। বাংলাদেশে যে কজন ড্রাগন তার মধ্যে তিনিও একজন। তার খামারে রয়েছে ৬ হাজার ড্রাগন গাছ। এছাড়া খামারে রয়েছে ৬১ টি লটকন গাছ, ৬শ মাল্টা গাছ এবং ৬শ আম গাছ। তাছাড়াও তার বাগানে রয়েছে ৩৫ রকমের ফলজ গাছ।

তিনি নিজেকে আদর্শ চাষী হিসাবে মিডিয়ায় বহুবার আলোড়িত হয়েছেন। বিষমুক্ত ফল সবজি আবাদের বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান তার কিষান সমন্বিত কৃষি খামার।

তার বিষমুক্ত ড্রাগন ফল রাসায়নিক হরমোন দিয়ে পাকানো ড্রাগনের চেয়ে বাজার দর কম হওয়ায় তিনি মনের  ক্ষোভে ৮শ ড্রাগন গাছ কেটে ফেলেছেন।

ড. আবু বকর প্রিন্স বলেন, ড্রাগন গাছে ফুল আসার ৫ দিনের মাথায় অসাধু ড্রাগন চাষীরা ড্রাগন টনিক নামের একটি রাসায়নিক হরমোন স্প্রে করে। ফুলে রাসায়নিক হরমোন স্প্রে করার কারনে ড্রাগন ফল বেশ বড় হয়। জৈব সার দিয়ে পাকানো ড্রাগন তুলনামূলক ভাবে ছোট হয় বলে বাজারে দামও কম হয়। প্রশাসনের নজরধারী না থাকায় আদর্শ চাষীরা মার খাচ্ছেন। মানুষ টাকা দিয়ে কিনে বিষ খাচ্ছেন। বিষমুক্ত ভাবে ড্রাগন চাষ করার পরও দাম কম হওয়ায় মনের ক্ষোভে তিনি ড্রাগন চাষ কেটে ফেলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমেরকিান বিউটি নামে ড্রাগনের ৫শ চারা সংগ্রহ করে রেখেছেন। তার সাহস হচ্ছে না এ চারাগুলো লাগানোর।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ উপজেলায় ২৬ একর জমিতে ড্রাগনের চাষ হয়। ড্রাগনে রাসায়নিক হরমোন স্প্রে হয় কিনা বিষয়টি তার জানা নেই।

 

 

এসএই

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ