• ঢাকা শুক্রবার
    ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বরিশালে চলছে ধর্মঘট, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ০৭:৩০ পিএম

বরিশালে চলছে ধর্মঘট, ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

বরিশাল প্রতিনিধি

মহাসড়কে অবৈধ যান বন্ধসহ বেশ কয়েকটি দাবি আদায়ে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে বরিশালে। গতকাল (৩ নভেম্বর) থেকে বরিশাল-ভোলা রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার পর আজ থেকে পরিবহণ ধর্মঘট শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মাইক্রোবাস, স্পিডবোট,  নৌযান ও ছোট-বড় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় সারাদেশ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো বরিশাল বিভাগ।

গতকাল (৩ নভেম্বর) থেকে ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দেয়া হয় নৌযান চলাচল। বরিশাল বান্দ রোডের নৌবন্দর (লঞ্চঘাট) ঘুরে দেখা যায়, বন্দর অনেকটাই নীরব। আগের মত হাঁকডাক নেই বললেই চলে। অভ্যন্তরীণ লঞ্চগুলো সব ঘাটে ভেড়ানো। হঠাৎ করে নৌযান চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চাকরিজীবী সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এমভি সুপার সনিক-৩-এর মাস্টার আলী আকবর জানান, লঞ্চ মালিকের নির্দেশেই তারা লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে। বরিশালের অভ্যন্তরীণ লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য কামরুল ইসলাম পান্না জানান, ভোলা ঘাটের ইজারাদাররা লঞ্চ বন্ধ করে দেয়ায় অভ্যন্তরীণ ৩২টি লঞ্চের অধিকাংশই চলছে না।

লঞ্চ সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘ওপরের নির্দেশেই’ মালিক সমিতির এই অলিখিত ধর্মঘট। গতকাল অল্প সংখ্যক কিছু লঞ্চ যাতায়াত করলেও আজ এবং আগামীকাল লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে জানান তারা।

হঠাৎ লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরিশালে আটকা পড়েছে ঢাকাগামী অনেক মানুষ। লঞ্চ, যানবাহন না থাকায় তারা ঢাকা ফিরতে পারছে না। অফিসের কাজে বরিশালে যাওয়া এক চাকুরিজীবি জানান, লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি বরিশালে আটকা পড়েছেন। সঠিক সময়ে অফিসে পুনরায় যোগ দিতে না পারলে চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে, এমন আশঙ্কাও করছেন তিনি। ইসরাফিল হোসেন নামের আরেক যাত্রী জানান, ভোলা থেকে লঞ্চ না ছাড়ায় বাড়িতে যেতে পারছেন না তিনি। ফলে বাধ্য হয়েই বরিশালে অবস্থান করতে হচ্ছে তাকে।

 এদিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করেই বরিশালের এই পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলে দাবী করছেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

এআরআই

আর্কাইভ