• ঢাকা বুধবার
    ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হাউজিং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২২, ০৩:৩৮ এএম

টাকা আত্মসাতের ঘটনায় হাউজিং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নবরূপ হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ আদেশ জারি করা হয়। বুধবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বাদীর আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত আরিফ উপজেলার চরলরেন্স গ্রামের মনির আহম্মদের ছেলে।

এজাহার সূত্র জানায়, ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা চেয়ারম্যান আরিফের কাছে ৮২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯১ টাকা জমা দেয়। ওই টাকা তিনি সমিতির নামের ব্যাংক হিসেবে জমা না রেখে নিজের কাছে রেখেছিলেন। সেখান থেকেই তিনি লেনদেন করেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে ৪০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাত করে নিজ নামে তিনি জমি ক্রয় করেন। ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল সাধারণ সভায় টাকার হিসেব চাইলে তিনি দিতে পারেননি। পরে ১ মাসের মধ্যে সোনালী ব্যাংক চরলরেন্স শাখায় সমিতির ব্যাংক হিসেবে টাকাগুলো জমা দেবেন বলে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এনিয়ে লিখিত অঙ্গীকার করেন। কিন্তু দীর্ঘ কয়েকবছর পার হলেও তিনি টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা দেননি। এতে গত ৩০ জানুয়ারি আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধার মাধ্যমে তাকে লিগ্যাল নোটিশ করা হয়েছে। এরপরও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সমিতির নামের ১৪ শতাংশ জমিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নবরূপ আইডিয়াল স্কুলটি বিক্রির জন্য জনৈক সাইফুল্যাহর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা বায়না চুক্তি করেন। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি টাকা পরিশোধের জন্য বললে তিনি বাদীসহ সমিতির সদস্যদেরকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কমলনগর আদালতে আরিফরে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই নোয়াখালীকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ১৯ জুন তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বাদী তৌহিদুল ইসলাম উপজেলার চরলরেন্স গ্রামের ঈমান আলী তহসিলদারের ছেলে।

আইনজীবী আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, পিবিআই অভিযুক্তের আরিফের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে প্রাথমিকভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ৩০ অক্টোবর শুনানি ছিল। কিন্তু আরিফ উপস্থিত ছিলেন না। এতে তার বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কমলনগর আদালতের বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরিফ হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমি আদালতে উপস্থিত হতে পারিনি। তৌহিদুল ইসলাম নিজেই অপরাধী। হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমি কারো টাকা আত্মসাৎ করিনি।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, গ্রেপ্তারের আদেশের কপি এখনো আমাদের কাছে আসেনি। আদেশ কপি হাতে পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে। 

 

 

এসএই

 

আর্কাইভ