• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রশিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ১০:৩৩ পিএম

বাগেরহাট মহিলা বিষয়ক অধিদফতরে নিয়ম  বহির্ভূতভাবে প্রশিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডারি ট্রেডের প্রশিক্ষক নিয়োগের নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

নিয়োগ বাতিল ও যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদানের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ওই কার্যালয়ের আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডারি ট্রেডের সাবেক প্রশিক্ষক ডালিয়া পারভীন। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালককে মতামত প্রদান করতে বলা হয়েছে। আবেদনে ডালিয়া পারভীন বলেন, ২০১১ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের বাগেরহাট কার্যালয়ে আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডারি ট্রেডের প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাই। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ জুলাই আমাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তখন আমাকে বলা হয়েছিল পরবর্তীতে প্রকল্প আসলে আমাকে একই পদে চাকরি প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন সময় উপ-পরিচালকের দফতরে কয়েকবার যোগাযোগ করি। প্রতিবারই আমাকে জানানো হয় এই ট্রেড বিলুপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসে আবারো আধুনিক দর্জি বিজ্ঞান ও এমব্রয়ডারি ট্রেড চালু হয়। কোনো প্রকার সার্কুলার ছাড়া অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে আকলিমা বেগম নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। যিনি ইতোপূর্বে জেলা কার্যালয়ে পাপস ট্রেডে চাকরি করতেন। যা বর্তমান ট্রেডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। চাকরিরত অবস্থায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে অর্জিত সনদের অনুকূলে আকলিমাকে এই চাকরি দেয়া হয়েছে বলে আমি জানতে পেরেছি। এর মাধ্যমে আমার অধিকার খর্ব করা হয়েছে, চাকরি পাওয়ার পথ বন্ধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমুন নাহার ও অফিস সহকারী পতিত পবন রায় এই অনিয়ম করেছেন। চাকরি ফিরে পাওয়াসহ অনিয়মকারীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ডালিয়া পারভীন নামের এই নারী।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের এক প্রশিক্ষক বলেন, পতিত পবন রায় একজন দুর্নীতি পরায়ন কর্মচারী। তার স্ত্রী চাকরিরি প্রদান করার জন্য দর্জি বিজ্ঞান ও ফুড প্রসেসিং ট্রেড বাদ দিয়ে কম্পিউটার ট্রেড চালু করিয়েছেন উপ-পরিচালককে দিয়ে। পরবর্তীতে কম্পিউটার ট্রেডে পতিত পবন রায়ের স্ত্রী নিতিকা হালদারকে চাকরি প্রদান করেন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণার্থীদের ভাতা ও সরকারি টাকা আত্মসাতের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত এই অফিসসহকারী এমন দাবি করেন এই প্রশিক্ষক।

এ বিষয়ে পতিত পবন রায় বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু বলব না। সবই উপ-পরিচালক স্যার জানেন, যা বলার তিনি বলবেন।

এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমুন নাহার বলেন আমাকে চিঠি দিয়েছে, আমি চিঠির উত্তর দিব। এডিসি জেনারেল স্যার এই কমিটির সভাপতি তার সঙ্গে আলাপ করেছি আমি। স্বচ্ছপ্রক্রিয়ায় করেছি, প্রক্রিয়াটি আমি জানিয়ে দিব।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ডালিয়া পারভীনের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কাছে বিস্তারিত মতামত চাওয়া হয়েছে।

এএল/

আর্কাইভ