প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০৭:৪৮ এএম
বাবা আলিফ লস্কর। কন্যা সন্তান জন্ম নেয়ার পর নিজের নামের সঙ্গে মিল করে রেখেছিলেন আলিফা। নিজের রাজকন্যাকে বেশিরভাগ সময়ই নিজের কাছে রাখতেন। মঙ্গলবার ট্রলি গাড়িতে করে ধান টানার কাজ করলে মেয়ে বায়না ধরে বাবার সাথে মাঠে যেতে। মা মাঠে যেতে বাধা দিলেও বাবা মেয়ের আবদার ফেলতে পারেনি। তাইতো তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন মাঠে। তবে মাঠ থেকে বাড়িতে কন্যাকে জীবিত নয়, নিয়ে গেলেন তার নিথর দেহ। হাসপাতালে মৃত কন্যার পাশে বিলাপ করছিলেন আর বলছিলেন আমি এ কি করলাম।
মঙ্গলবার বিকেলে বাবার ধান টানা টলির নিচে চাপা পড়ে তিন বছরের কন্যা শিশু আলিফার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আলিফা ঝিনাইদহ জেলার ফুরসুন্দি ইউনিয়নের ধনঞ্জয়পুর গ্রামের আলিফ লস্কার এর মেয়ে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আলিফাকে নিয়ে আসলে কর্তব্য চিকিৎসক শিশুটিকে ঘোষণা করে।
এদিকে আরেক পিতার জমিতে চাষ দেয়ার সময় পাওয়ার টিলারে আঘাতে ১০ বছরের ছেলে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
নিহত আলিফার বাবা আলিফ লস্কার জানান, স্যালো ইঞ্জিন চালিত টলি গাড়ি নিয়ে মাঠ থেকে ধান টানছিলেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে মাঠে যাওয়ার বায়না করায় তাকে সঙ্গে নিয়ে যায়। টলিতে ধান বোঝাই করে তাকে টলির উপর উঠিয়ে গাড়ি টান দিলে হঠাৎ মেয়ে টলি থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় টলির চাপায় গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে আহত ১০ বছরের শিশু মুরসালিন মাগুরা সদরের বড়শলই গ্রামের কামরুল মোল্লার ছেলে।
মুরসালিনের চাচা উজ্জ্বল মোল্লা জানান, পাওয়ার টিলার দিয়া মাঠে জমিন চাষ দেয়ার কাজ করছিলেন কামরুল মোল্লা। হঠাৎ ১০ বছরের ভাতিজা মুরসালিন বাবা কামরুল মোল্লার পাওয়ার টিলারের নিচে চাপা পড়ে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত আলিফার ব্যাপারে মাগুরা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল মো. হযরত আলী বলেন, হাসপাতাল নিয়ে আসার পূর্বেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এসএই/এএল