প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১, ০৫:৫০ পিএম
পাঁচ দিন ধরে
নরসিংদী সদর উপজেলা মাধবদীর
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে
পড়েছেন একই ভবনে থাকা
ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও
ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সেবা প্রত্যাশীরা।
সর্বশেষ
খবর অনুযায়ী মঙ্গলবার (১৫ জুন) বেলা
১১টা পর্যন্ত পরিষদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মহিষাশুড়া
ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের উদাসীনতায়ই
এমন ভোগান্তি হচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত
তার পক্ষ থেকে কোনো
পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে
অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিদ্যুৎ
বিল না দেয়ায় ইউনিয়ন
পরিষদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
নরসিংদী
পল্লী বিদ্যুৎ-১ অফিস সূত্রে
জানা যায়, ২০১৬ সালের
সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের এক লাখ ৫৩
হাজার ৪২৩ টাকা বিদ্যুৎ
বিল বকেয়া রয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ
অফিস থেকে চেয়ারম্যানের সাথে
বারবার যোগাযোগ করা হলেও কাঙ্ক্ষিত
সাড়া পাওয়া যায়নি। অবশেষে বকেয়া বিল অনাদায়ী সংযোগ
বিচ্ছিন্ন অভিযানে গত ১১ জুন
মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
এরপরও
এখন পর্যন্ত ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ
অফিসে কোনো প্রকার যোগাযোগ
করেননি বলে জানিয়েছেন নরসিংদী
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডেপুটি
জেনারেল ম্যানেজার মহিউদ্দিন মোশাহিদুল্লাহ।
তিনি
বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে
অনাদায়ী ওই বিদ্যুৎ বিল
পরিশোধের সর্বোচ্চ সুযোগ দেয়া সত্ত্বেও ইউনিয়ন
পরিষদ তা আমলে নেয়নি,
অবশেষে বাধ্য হয়েই সংযোগ বিচ্ছিন্ন
করা হয়।’
চেয়ারম্যানের
এমন উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইউনিয়ন পরিষদের
বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার ও সেবা প্রত্যাশীরা।
২
নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাফিউদ্দিন জানান, প্রতিদিনই অনেক লোক জন্মনিবন্ধন,
মৃত্যুসনদসহ জরুরি পরিষেবা নিতে এসে বিদ্যুতের
কারণে নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এতে ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট সবার সুনাম ক্ষুণ্ন
হচ্ছে।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিষদের একজন কর্মচারী জানান,
বর্তমান চেয়ারম্যান পরিষদের চেয়ে জমিজমা সংক্রান্ত
ঝামেলা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন।
চার দিন আগে পরিষদের
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও এখন
পর্যন্ত তিনি অফিসে আসেননি।
এমনকি এ ব্যাপারে কোনো
নির্দেশনাও দেননি।
এ
বিষয়ে কথা বলতে ইউপি
চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহিনের মুঠোফোনে
একাধিকবার কল করা হলেও
তিনি তা রিসিভ করেননি।
ইউনিয়ন
পরিষদের সচিব শাহাদাত হোসেনের
সঙ্গে কথা বললে তিনি
বলেন, ‘পূর্ববর্তী চেয়ারম্যানের আমল থেকেই পরিষদের
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক অফিসের একটি সাব-স্টেশনের
ট্যাক্স ও বেশ কিছু
বৈদ্যুতিক খুঁটির ভাড়া বাবদ পাওনা
টাকার সুরাহা না হওয়ায় বিদ্যুৎ
বিল বকেয়া পড়ে।’
তবে
এমন দাবিকে অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন বলে
জানিয়েছেন নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ডিজিএম
মহিউদ্দিন মোশাহিদুল্লাহ।
ডব্লিউএস/এম. জামান