প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০৫:০৯ পিএম
বিস্তর অভিযোগ নীলফামারীর ডোমার উপজেলা সদরের “ফেন্সী ডেন্টাল হোম” এর বিরুদ্ধে। রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার এক মহাফাঁদ পেতে বসেছেন দন্ত চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে ১৭ বছরের অভিজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দেয়া ওমর ফারক। দালাল দিয়ে রোগী বাগিয়ে আনা ওমর ফারুকের যোগ্যতা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি যে সব যোগ্যতার কথা তার লিফলেটে ও সাইনবোর্ডে ব্যবহার করেছেন তার মধ্যে রয়েছে বিস্তর গড়মিল। তিনি রংপুর ডেন্টাল কলেজ (ডেন্টাল ইউনিট) থেকে ১৭ বছরের অভিজ্ঞ মুখ ও দন্ত চিকিৎসক বলে তার প্রচারপত্রে দাবি করলেও রংপুরে ঐ নামে কোনো ডেন্টাল কলেজের অস্তিতই নেই। ডোমার শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত ‘ফেন্সী ডেন্টাল হোম’ ক্লিনিক খুলে তিনি রিতিমতো রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার মহাফাঁদ পেতে বসেছেন।
সূত্র জানায়, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে ও তা উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার রায় তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ঐ চিকিৎসক তার ১৭ বছরের অভিজ্ঞতার কথা বললেও তার সপক্ষে কোনো সনদ দেখাতে পারেনি। তার ক্লিনিকে অব্যবহ্নত ডেন্টাল সামগ্রী পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। ডা. ওমর ফারুক ডেন্টিস্ট না হয়েও চিকিৎসাপত্র দেয়ারও প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। এ ছাড়া তার বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন না থাকা সত্ত্বেও তিনি ডেন্টিস্ট হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং তার সার্টিফিকেট অনুয়ায়ী তিনি একজন ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট মাত্র। এতকিছুর পরেও তিনি কিভাবে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘ দিন ধরে তার এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি মহল জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ওমর ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে মিথ্যা হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ করেছে।
সির্ভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে জমা দেয়া হয়েছে। তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান। ফেন্সি ডেন্টাল হোম এর বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, প্রতিবেদন পেয়েছি। দ্রুত বিধিমোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএল/